অবশেষে পুলিশের জালে পার্ক স্ট্রিট গুলি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সোনা। জামশেদপুর থেকে মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গুণ্ডাদমন শাখা। সূত্রে খবর, তাঁকে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়।
প্রসঙ্গত, পার্ক স্ট্রিট গুলি কাণ্ডে প্রথম থেকেই পুলিশের নজরে মহম্মদ ফইউদ্দিন ওরফে সোনা। তদন্তকারীদের ধারণা ছিল, এই ঘটনার পর বিহারে সোনা গা ঢাকা দিয়েছে সোনা। কারণ, বিহার দ্বারভাঙায় সোনার আসল বাড়ি। তার শ্বশুরবাড়ি বিহারের সাসারামে। ওই দুই জায়গাতেই তার সম্পত্তি রয়েছে বলে পুলিশের কাছে খবর ছিল। সোনার সন্ধানে যেন কলকাতা ও তার আশপাশের অঞ্চলে তল্লাশি চলছে, তেমনই তাকে খুঁজতে বিহারেও পুলিশের টিম তল্লাশি চালায়। অবশেষে গ্রেফতার করা হয় সোনাকে।
প্রসঙ্গত, তিলজলার কুখ্যাত গ্যাংস্টার রশিদ আলম ওরফে গব্বর তার শ্যালক ফইউদ্দিন ওরফে সোনাকে সঙ্গে নিয়েই গ্যাং তৈরি করে। তার আগে মধ্য কলকাতার কুখ্যাত গ্যাংস্টার রিপন স্ট্রিটের আখতার মেহমুদের দলে ছিল সোনা। পরে গব্বর ও সোনার গ্যাং মধ্য কলকাতা, পূর্ব কলকাতা ও দক্ষিণ কলকাতায় দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করে। খুন, খুনের চেষ্টা, অপহরণ, মাদক পাচার, প্রোমোটিং ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলাবাজিতে গব্বর-সোনার গ্যাং সিদ্ধহস্ত। ১৯৯৭ সালে বাদশা ও ১৯৯৮ সালে সাদিক খুনের অভিযোগে সোনা গ্রেপ্তারও হয়েছিল। তিলজলায় বান্টি খুনের ঘটনায় ২০০১ সালের ডিসেম্বরে গব্বর গ্রেফতার হয়। তার আগেই সোনা তিলজলার চুন্নু মিঞার গ্যাংয়ে যোগ দেয়।