কঙ্গনা রানাওয়াত সাংসদ পদ খোয়াবেন কি না তা নিয়ে শুরু জল্পনা

কঙ্গনা রানাওয়াত সাংসদ পদ খোয়াবেন কি না তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর জল্পনা। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছেন এই বলি তারকা। এদিকে সূত্রে খবর মিলছে, বুধবার অর্থাৎ ২৪ জুলাই, তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েছে হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্ট। কারণ, কঙ্গনার নির্বাচন বাতিল করার আবেদন করেছেন কিন্নর জেলার এক বাসিন্দা। তিনিও মান্ডি আসন থেকেই লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর মনোনয়নপত্র ভুলভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল বলে তাঁর অভিযোগ। তাই তিনি কঙ্গনার নির্বাচনও বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন। এই বিষয়ে নোটিশ জারি করে, ২১ অগাস্টের মধ্যে কঙ্গনাকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জ্যোৎস্না রাওয়াল।

প্রসঙ্গত, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মান্ডি লোকসভা আসনে থেকে ৭৪,৭৫৫ ভোটে জয়ী হন কঙ্গনা রানাওয়াত। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, কংগ্রেস প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিং পেয়েছিলেন ৪,৬২,২৬৭ ভোট। আর কঙ্গনা পেয়েছিলেন ৫,৩৭,০০২ ভোট। তবে এই আসন থেকে লড়তে চেয়েছিলেন কিন্নরের বাসিন্দা, লায়ক রাম নেগিও। মান্ডিতে রিটার্নিং অফিসার ছিলেন সেখানকার জেলাশাসক। লায়ক রাম নেগির দাবি, জেলাশাসক ভুলভাবে তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

লায়ক রাম নেগি হিমাচল প্রদেশ বন বিভাগের এক প্রাক্তন কর্মী। অকাল অবসর নিয়ে ভোটে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসকের কাছে তিনি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে বন বিভাগের জারি করা একটি ‘নো ডিউ সার্টিফিকেট’-ও জমা দিয়েছিলেন। এরপর তাঁকে বিদ্যুৎ, জল ও টেলিফোন বিভাগের ‘নো ডিউ সার্টিফিকেট’-ও দাখিল করতে বলেছিলেন রিটার্নিং অফিসার। এর জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল মাত্র একদিন। তবে, তিনি তার মধ্যে সেগুলি জোগার করে জমাও দিয়েছিলেন। কিন্তু, লায়ক নেগির অভিযোগ, তারপরও রিটার্নিং অফিসার সেগুলি গ্রহণ করেননি। বরং, তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করে দেন।

এরপর লায়ক নেগি হাইকোর্টে আবেদন করেন, তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হলে, তিনি নির্বাচনে জয়ীও হতে পারতেন। তাই, কঙ্গনার নির্বাচন বাতিল করা হোক। এই মামলায় রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসককেও পার্টি করেছেন তিনি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 + seventeen =