সিপিআইএম প্রার্থীর ছাপানো প্রচার পত্রে শ্রীকৃষ্ণ। ভোটের আগে বামেদের বিরুদ্ধে আস্তিকতার আশ্রয়ের অভিযোগ বিরোধীদের। তবে একাংশ এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে এও বলতে ছাড়ছেন না, , ভোট বড় বালাই। ভোটাররাই তো ভগবান প্রার্থীদের কাছে। সামনে ভোট, তাই কত কী দেখতে হয়! তারই অঙ্গ হিসেবে লোকসভা ভোটের বাজারে নিজেদের ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বা ‘নাস্তিক’ হিসাবে দাবি করা সিপিএমকেও আশ্রয় নিতে হল শ্রীকৃষ্ণ-শরণে। আর এই প্রসঙ্গে ভোটারদেরই প্রশ্ন, তাহলে শেষ পর্যন্ত সিপিএমও আদর্শচ্যুত হল! তবে এই ইস্যুতে ‘অহেতুক বিতর্ক’ দেখছেন বামেরা।
এমনই ঘটনা ঘটেছে খোদ শহর কলকাতাতেই। দক্ষিণ কলকাতার সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম তাঁর প্রচারে বাংলা নববর্ষ ও ইদকে সামনে রেখে তৈরি করেছেন প্রচারপত্র। কার্ডের এক পিঠে কৃষ্ণ সেজেছে এক খুদে। তার পাশে আবার ফেজ টুপি পরা আর এক খুদে ধরেছে কৃষ্ণের হাত। এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভোটারদের কাছে পৌঁছতে চাইছে সিপিএম। রয়েছে সম্প্রীতির বার্তাও। আর এই কার্ড নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কমিটির কনভেনর ও দলের রাজ্য কমিটির সদস্য সুদীপ সেনগুপ্ত জানান, ‘ প্রত্যেকবার ভোটের সময় আমরা ইদের কার্ড দিই, নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তা দিই। এটা আজকের বিষয় নয়। যতদিন আমরা সংসদীয় রাজনীতিতে রয়েছি তবে থেকে চলে আসছে। ২০১৪, ২০১৯ বা তার আগেও লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে আমরা শুভেচ্ছাবার্তা দিই। এতে নতুন কিছু নেই। ইদের কার্ডে কোনও জায়গায় পার্টির নাম উল্লেখ করা থাকে না। এবারেও সেই ভাবেই দুটি সম্প্রদায়কে দেখানো হয়েছে। আমরা মনে করি, ধর্ম যে যার মতো পালন করুক। রাষ্ট্র যেন সেখানে হস্তক্ষেপ না করে। সেই বার্তাই রয়েছে।’ উল্লেখ্য, নববর্ষের কার্ড তৈরি হয়েছে ৫০ হাজার, ইদের কার্ড ৩৫ হাজার। বাড়ি বাড়ি কার্ড পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সিপিএম।