২০২৬–এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের গোছাতে চাইছে বিজেপি। কারণ, এই নির্বাচনে কিছু করে দেখাতে হলে লড়াইয়ের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করা দরকার। এদিকে হাতে সময় বেশি নেই। সমস্যা হল, পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপির নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজি ঠিক কী সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও ধারনাই নেই কারও। শুধু তাই নয়, বঙ্গ বিজেপি কার নেতৃত্বে আগামী বিধানসভা ভোট লড়বে তাও স্থির হয়নি। কারণ, রাজ্য বিজেপির যে সভাপতি নির্বাচন করার কথা ছিল তা এখনও হয়ে ওঠেনি। এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদ সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী পদের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন। এদিকে বিজেপি–তে আবার ‘এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি‘ রয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কি সুকান্তর সভাপতিত্ব নিয়ে নীতিগত প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এদিকে দুয়ারে যখন বিধানসভা নির্বাচন, এমন এক সময়ে রাজ্য বিজেপি–র সভাপতি বদলে ঝুঁকি নেওয়া হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিজেপির একাংশ।
তবে সব বাধা সরিয়ে ৩ জুলাই হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত রাজ্য বিজেপি সভাপতি নির্ণয়ের নির্বাচন। এই নির্বাচনী জল্পনার মধ্যেই উঠে আসছে শমীক ভট্টাচার্যের নাম। বঙ্গ বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা। পশ্চিমবঙ্গে যখন বিজেপি–র নাম কে ওয়াস্তে ছিল, সেইসময় থেকেই শমীক ভট্টাচার্য রয়েছেন। আর এই শমীককে ঘিরেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে আলোচনা তুঙ্গে। দলের অন্দরের পরিস্থিতি দেখে অনেকেই বলছেন, শমীকের জয় সময়ের অপেক্ষা। তবে সভাপতি পদের প্রশ্নে দল নিজেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন শমীক ভট্টাচার্য। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, এ সপ্তাহে সোমবার বিকেলে হঠাৎই দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার বাসভবনে দেখা যায় রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে। একেবারে সরাসরি ‘আড্ডা’ নয়—নিয়ম মেনে আমন্ত্রণ পেয়েই গিয়েছিলেন তিনি। আর তখন থেকেই শুরু জল্পনার। কারণ বিজেপির অন্দরমহলে এই দৃশ্যকে ‘সিগন্যাল’ বলেই ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।