প্রত্যেক ব্যালট পেপারের পিছনে প্রিসাইডিং অফিসারের সই এবং স্ট্যাম্প আছে কি না তা খতিয়ে দেখে নেওয়ার নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। নতুবা বাতিল হবে সেই ভোট।গণনা নিয়ে এমনই নির্দেশিকা জারি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। সছিক অর্থে বললে, নির্দেশিকা নয় নয়।শুধুমাত্র কমিশনের ওই নির্দেশিকায় পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত আইন, ২০০৬-এর কথা আবারও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চায়েত আইনের একটি অংশ উদ্ধৃত করে কমিশন ওই নির্দেশিকায় জানিয়েছে, প্রত্যেক ব্যালট পেপার ভোটারদের দেওয়ার আগে ব্যালট পেপারের পিছনের দিকে জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন অফিসারের নির্দেশ মতো স্ট্যাম্প ও প্রিসাইডিং অফিসারের পুরো সই থাকতে হবে। কমিশনের নির্দেশ, প্রত্যেকটি ব্যালট পেপার খতিয়ে দেখতে হবে গণনার সময়ে। যদি কোনও ব্যালট পেপারের পিছনের দিকে প্রিসাইডিং অফিসারের সই না থাকে, তাহলে তা বৈধ ভোট বলে গণ্য হবে না। এই ধরনের ব্যালট পেপারগুলি ভোট গণনার সময়ে বাতিল করতে হবে।
উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি জেলায় যে ধরনের অভিযোগ উঠে এসেছিল, সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখানকার জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘কমিশনের স্থির করে দেওয়া গাইডলাইনের বাইরে কেউ কিছু বলেছেন, এমন প্রমাণ তাঁর কাছে নেই। রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশিকা জারি করেছে, সেটা সকলের কাছে পাঠানো হয়েছে। ফলে এই নিয়ে কারও মনে কোনও সন্দেহ থাকার কারণ নেই।’