রাজ্য সরকার সকলের জন্য সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, জানালেন এনএস নিগম

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের প্রধান সচিব এন এস নিগম, আই এ এস  কলকাতায় সিআইআই ইস্টার্ন রিজিয়ন আয়োজিত হেলথ কেয়ার ইস্ট সামিটের ১৮তম সংস্করণে বলেন, ‘রাজ্য সরকার সকলের জন্য মানসম্মত, সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ এরই পাশাপাশি

পূর্বাঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর সাম্প্রতিক মহামারির প্রভাব তুলে ধরে, রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব এনএস. নিগম সুস্থতার দিকে মনোনিবেশ করার এবং দৈনন্দিন জীবনে ডিজিটাল স্বাস্থ্যকে সংহত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। একইসঙ্গে এদিন তিনি গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণে টেলিমেডিসিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেন এবং পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যে সমস্যা রয়েছে তা পূরণ করার কথাও বলেন। এরই রেশ ধরে তিনি এও জানান, ভারতে স্বাস্থ্য বিমা খাতে ৬৬,০০০ কোটি টাকা খরচ হয়, যা মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬.৬ শতাংশ।

একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের শক্তিশালী স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি উল্লেখ করেন যে, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্রে এর অবস্থান অগ্রণী। ‘স্বাস্থ্য সাথী’ প্রকল্পের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বিশেষ করে দ্বিতীয় স্তরের শহরগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবার অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর কথাও এদিন তাঁর বক্তব্যে তিনি তুলে ধরেন।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব ওয়াই রত্নাকর রাও ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে অগ্রগতির জন্য একটি স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্য়ান্ডডি) প্রচেষ্টাকে জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে একটি চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের গুরুত্বের উপর জোর দেন।

অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান হর্ষবর্ধন নেওটিয়া বলেন, নিওটিয়া গ্রুপ চিকিৎসা ক্ষেত্রে একাধিক প্রকল্প চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই রেশ টেনে তিনি এদিন এও বলেন, সংস্থাটি আগামী পাঁচ বছরে ১৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে চায়। পাশাপাশি পাঁচ থেকে ছয়টি স্থানে চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা স্থাপন এবং পূর্ব ভারতে প্রায় ১৫০০ শয্যা ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চায়। তিনি উল্লেখ করেন যে চিকিৎসা শিল্প প্রচলিত ব্যবসার থেকে আলাদা, স্বাস্থ্যসেবায় নৈতিক অনুশীলন নিশ্চিত করতে মূলধনের ব্যবহার প্রয়োজন। আস্থা এই ক্ষেত্রের মূল ভিত্তি হিসাবে রয়ে গেছে, যা অপারেশনাল দক্ষতা বাড়ানোর জন্য দক্ষ চিকিৎসা পেশাদার এবং প্যারামেডিকদের প্রশিক্ষণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

পিয়ারলেস জেনারেল ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়ন্ত রায়, কর্পোরেট হাসপাতালগুলি যাতে সুলভ, উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তার উপর জোর দেন।তিনি আরও বলেন, গত এক দশকে পূর্ব ভারতের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের শহরগুলি উন্নত চিকিৎসা সুবিধা স্থাপনের আশাব্যঞ্জক ক্ষেত্র হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × two =