বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জন্মের শংসাপত্র সংশোধনের ক্ষেত্রে কড়া গাইডলাইন জারি করা হল। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ আসছিল বলেই খবর। জন্ম–শংসাপত্র সংশোধনের আড়ালে দুর্নীতি রুখতেই তাই এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য।
রাজ্যের প্রত্যেকটি হাসপাতালের বার্থ রেজিস্টার হিসাবে নার্সিং স্টাফদের সরিয়ে, তাদের জায়গায় একজন করে মেডিকেল অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জন্মের শংসাপত্র দেওয়া এবং সংশোধনের ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আসছিল, তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার গাইড লাইন জারি করল রাজ্য। আর এই নয়া গাইডলাইনে ইচ্ছামতো নাম সংশোধন করা যাবে না। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে, অনিয়মের অভিযোগ আসছিল।
এই সব অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে এই মর্মে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে, চিঠি দেওয়া হল প্রত্যেকটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, জেলাশাসক এবং কলকাতা পুরসভার কমিশনারকে।
সূত্রে খবর, এই নির্দেশিকায় প্রথমত বলা হয়েছে, যদি কোনও শিশুর ক্ষেত্রে নাম ছাড়াই, রেজিস্টারে তথ্য দেওয়া হয়। সুনির্দিষ্ট, তথ্য প্রমাণ দেখে রেজিস্টার তবেই নতুন করে নাম এনলিস্ট বা নথিভুক্ত করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে, রেজিস্টার যদি মনে করেন তবেই নাম যোগ করতে পারেন কোন শিশুর।
দ্বিতীয়ত, মা ও বাবার ডিভোর্স হয়ে গেলে, সে ক্ষেত্রে শিশুর যে নাম আগে রেজিস্টার থাকবে তা কোনও ভাবেই বদল করা যাবে না। বাবার নাম কোনও মতেই বার্থ সার্টিফিকেট থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।
তৃতীয়ত, কোনও ক্ষেত্রে নামের বানান ভুল, ক্লারিক্যাল এরর ,রেজিস্টারে তোলার সময় কোনওভাবে ভুল হয়েছে,সেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়ার পরই নামের সংশোধন করা যাবে।
চতু্র্থত, আগে থেকে জন্মের সময় দেওয়া রয়েছে কিন্তু নাম নেই, সেক্ষেত্রেও নতুন করে রেজিস্টারে নাম তোলা যাবে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণ দিয়ে।
পঞ্চমত, জন্মের সময়ের পরিবর্তন কোনোভাবেই করা যাবে না, যদি তা করতে হয় তার জন্য যথাযোগ্য প্রমাণ দিতে হবে।
ষষ্ঠত, ব্যক্তিগত পরিচয় পরিবর্তনের জন্য নিছকই নামের সংশোধন করা যাবে না।
সপ্তমত, জন্ম তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না।
অষ্টমত, জন্মের স্থান পরিবর্তন করা যাবে না।