চাপে তৃণমূলের বহিষ্কৃত চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন। বহিষ্কৃত এই তৃণমূল নেতা তথা চিকিৎসককে এবার চার্জশিট রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের। কারণ, চিকিৎসক শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন ও রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের অনুমতি না নিয়েই এফআরসিপি গ্লাসগো অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে তাঁর প্রেসক্রিপশন লেখার প্যাডে ব্যবহার করতেন। এরপর এ নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। তদন্ত করে রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের এথিক্স এন্ড পেনাল কমিটি। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯১৪ সেকশন ১৭/২৫ অনুযায়ী তাঁকে এই চার্জশিট পাওয়ার ২১ দিনের মধ্যে এর সদুত্তর দিতে হবে। যদি তার উত্তর দিতে না পারেন, তাহলে কাউন্সিল বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
তৃণমূলের বহিষ্কৃত চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে ‘বিদেশি ডিগ্রি’ দেখিয়ে প্রাইভেট প্রাকটিসের অভিযোগ উঠেছিল।
প্রসঙ্গত, লেটারহেডে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের ‘স্বীকৃতিহীন ডিগ্রি’র উল্লেখ করে বিতর্কে জড়িয়েছেন শান্তনু। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নামে রাজ্যেরই মেডিক্যাল কাউন্সিল। প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের পর শান্তনুকে নোটিস দিয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। যদিও শান্তনু এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,বেঙ্গল মেডিক্যাল অ্যাক্টে অতিরিক্ত যোগ্যতা নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক নয়। দীর্ঘদিন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে যুক্ত রয়েছেন তিনি। এছাড়াও বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার দাবি, বার বার নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। এমনকি সেইবাবদ ফি-ও দিয়েছেন ১০ হাজার টাকার। কিন্তু তার পরও জবাব মেলেনি। এখন নোটিস ধরিয়ে তাঁকেই দোষ দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি শান্তনুর।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কাউন্সিল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শান্তনু সেনের এফআরসিপি অ্যাডিশনাল ডিগ্রির কোনও রেজিস্ট্রেশনের তথ্য পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি এমএনসি থেকে পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কাউন্সিলকে জানানো হয়েছে, এই সমস্ত ক্ষেত্রে যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তাঁর নাম রেজিস্ট্রেশন থেকে কাটা যাবে।