২০২৩-এর চার রাজ্যের নির্বাচনী ফল সামনে আসতেই নজরে এল হিন্দি বলয়ে বিজেপির একাধিপত্য। ছত্তিশগড়ও কংগ্রেসের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে আনতে চলছে পদ্ম শিবির। ফলাফল ঘোষণা না হলেও ইঙ্গিত দিচ্ছে সেইদিকেই। তবে ছত্তিশগড়ের ফলাফলে বিশেষ ভাবে খুশি এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কারণ, পড়শি রাজ্যের প্রচারে গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাই এদিনের নির্বাচনী ফল সামনে আসতেই বাড়তি উন্মাদনা ধরা পড়ে বিরোধী দলনেতার গলায়।
এখানে একটা তথ্য দেওয়া জরুরি যে, ছত্তিশগড়ের কিছুটা অংশে ভালো সংখ্যক বাঙালি লোক বসবাস করেন। এবার নির্বাচনী ফলে তাঁদেরই আস্থা এবার প্রতিফলিত হয়েছে বিজেপির ভোট বাক্সে, এমনটাই দাবি শুভেন্দুর। তিনি বলেন, ‘ওখানে ১০ লাখ বাঙালি ভোটার আছে। ৯০ শতাংশের বেশি বাঙালি ভোট দিয়েছে। রায়পুরের সব সিট আমরা জিতেছি। উদবাস্তু এলাকাতেও বিজেপি সব বুথে লিড রেখেছে। সব আসন থেকেই আমরা জিতেছি।’
প্রসঙ্গত, ছত্তিশগড়ের নির্বাচনে বাংলা থেকে ডাক পেয়েছিলেন শুভেন্দু। বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে প্রচারের জন্য তাঁকে বেছে নেওয়া হয় ছত্তিশগড় বিজেপির তরফে। শুভেন্দু বলেন, ‘রমন সিংজি আমাকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। কারণ আমি ওখানকার বাঙালি এলাকায় প্রচারে ছিলাম।’ তাঁর প্রচারের জায়গায় বিজেপি ভালো ফল করায় খুশি বঙ্গ বিজেপি নেতা।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও একটি বাঙালি বসবাসকারী রাজ্য ত্রিপুরাতেও বিজেপির জয়জয়কার লক্ষ্য করা গিয়েছিল। পাশা বদল হয় ত্রিপুরায়। বাম জমানার হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে আনে বিজেপি। ফলে এবার আরও একটি রাজ্যে বাঙালির ভোট বিজেপির ঝুলিতে যাওয়া ঝুলিতে যাওয়া নিয়ে আশাপ্রদ শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরাতে যেমন বাঙালিরা এগিয়ে এসে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। ঠিক একইভাবে ছত্তিশগড়ের বাঙালি বিজেপির এই জয় এনে দিয়েছে।’ এদিন তিন রাজ্যে বিজেপির জয়জয়কার হওয়ার পর শুভেন্দু টুইট করে জানান, বিজেপি ছত্তিশগড়কে বিশেষ ধন্যবাদ আমাকে প্রচার করতে এবং এই দুর্দান্ত জয়ে অবদান রাখার জন্য। ছত্তিশগড়ের বাঙালি ভোটাররা সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিয়েছেন। তিন রাজ্যের ভোটের ফলাফল দেখে আগামী দিনে এ রাজ্যেও পালাবদল হওয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা।