মহেশতলায় নাবালক নিখোঁজের পর ১০ দিন কাটতে চললেও এখনও খোঁজ নেই ইসলামপুরের নাবালকের। সেই কারণে এবার তদন্তে রাজ্য় গোয়েন্দা দপ্তরের সাহায্য নিচ্ছে জেলা পুলিশ। এদিকে রবিবার সকালেই রবীন্দ্রনগর থানায় নিয়ে আসা হল মূল অভিযুক্ত শাহেনশাহকে। শুক্রবার তাঁকে মুম্বই থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর সঙ্গেই পাকড়াও করা হয়েছে ফিরোজ ও আসিফ নামে আরও দু’জনকে। শাহেনশাহ-র সঙ্গে এই দু’জনকেও এদিন নিয়ে আসা হয় রবীন্দ্রনগর থানায়। এরপর এই তিনজনকেই এদিন আলিপুর আদালতে তুলছে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ।
ডায়মন্ড হারবার থানা সূত্রে খবর, শাহেশাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই নাবালকের খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। শেষ পর্যন্ত সে নাবালককে কোথায় রেখেছিল বা ওই নাবালক যদি পালিয়ে যায় তাহলে কোন দিকে গেল এবং তা কে দেখেছে এই সব বিষয়েই এদিন শাহেনশাহকে প্রশ্ন করা হয় বলে খবর। একইসঙ্গে ঘটনার সময় শাহেনশাহ ছাড়াও বাকি কারা উপস্থিত ছিল তা এবার জানতে চায় পুলিশ। সূত্রে খবর, এসডিপিও কারুজাম্মান সহ তদন্তকারী অফিসার নাবালকের সন্ধানে ম্যারাথন জেরা করছেন শাহেনশাহকে। এদিকে আবার স্থানীয়দের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে মালিকের ছেলের কাছে স্কুটার চেয়েছিল শাহেনশাহ। কিন্তু সেটা কী কারণে চেয়েছিল তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে মঙ্গলবার শাহেনশাহ-সহ দু’জন কারখানা থেকে বেরিয়ে বজবজ পৌঁছে হাওড়া স্টেশন দিয়ে মুম্বই যায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সিসি ক্যামেরা ফুটেজে শাহেনশাহদের বেরনোর ছবি দেখা গেলেও নাবালকের ছবি এখনো পাওয়া যায়নি। শাহেনশাহের মোবাইলের কলের ডেটা রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। কার সঙ্গে কখন কথা তা কণ্ঠ মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।