আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারকে  ঘটনার অকুস্থল ঘুরে দেখতে দিতে নারাজ রাজ্য

আরজি করকাণ্ডে ঘটনার অকুস্থল ঘুরে দেখার আবেদন জানিয়েছে তিলোত্তমার পরিবার। সেই মামলার শুনানিতে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক অরিজিৎ মণ্ডল। তবে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার আবেদনে আপত্তি জানাল শিয়ালদহ আদালত। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে রাজ্যের তরফ থেকে এ আর্জিও জানানো হল এই ধরনের আবেদন খারিজ করার। অকুস্থল ঘুরে দেখার ব্যাপারে আপত্তি জানান টালা থানার তৎকালীন ওসি ও সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীও।

এদিকে মঙ্গলবার নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি ও অর্মত্য দে কোর্টে জানান, তাঁরা হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল ঘুরে দেখতে চাই। তবে সেমিনার রুম বাদ দিয়ে। কলকাতা পুলিশের তদন্তে ত্রুটি ছিল বলেই হাইকোর্ট তদন্ত সিবিআইকে দিয়েছে। কারণ, পরিবার দেখতে চায় কী হয়েছিল ঘটনাস্থলে। একইসঙ্গে এদিন এ প্রশ্নও করা হয়,  রাজ্য কী লুকাতে চাইছে বা রাজ্যের তরফ থেকে আপত্তি জানানো হচ্ছে। সিবিআই তদন্ত করছে তাদের কোনও আপত্তি নেই তাহলে রাজ্যের আপত্তি কেন এ প্রশ্নও তোলেন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী। আর এখানেই তাঁদের বক্তব্য, ‘নির্যাতিতার পরিবারের এটা জানার অধিকার আছে যে সঠিক তদন্ত হচ্ছে কি না। পরিবারের আইনজীবী হিসেবে এই অধিকার আছে। নতুন আইন এই অধিকার দিয়েছে। যতই ছবি, ভিডিয়ো থাকুক নিজের চোখে ঘটনাস্থল দেখার গুরুত্ব আছে।

এরই প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যের আপত্তি রয়েছে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার ক্ষেত্রে।হাইকোর্টে পুনরায় তদন্তের শুনানি বাকি আছে।ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার অধিকার আইনজীবী বা অন্য কারও নেই।এই ধরনের আবেদন গ্রহণযোগ্য না। এই আবেদনে স্পষ্ট নেই কোথায় কি ঘুরে দেখতে চান।পরিবারই সিবিআই তদন্ত ত্রুটি আছে বলে দাবি করেছে। তাই পুনরায় তদন্তের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই আবেদনে বাতিল করা হোক।

অন্যদিকে সিবিআইএর আইনজীবী জানান, তাঁদের  কোনও আপত্তি নেই এই আবেদনে। শুধু সেমিনার রুম ঘুরে দেখাতে আপত্তি। যদি আবেদন মঞ্জুর করা হয় তাহলে এক মাস পরের দিন দেওয়া হোক। অপরদিকে, অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী আদালতে জানান, ‘তদন্ত চলছে এখনো। হাইকোর্টে পুনরায় তদন্তের আবেদনের শুনানি বাকি। আমাদের আপত্তি রয়েছে এই আবেদনে।এর পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী জোয়েভ রউফও জানান, নিম্ন আদালত এই আবেদন শুনতেই পারে না।আমাদের আপত্তি রয়েছে এই আবেদনে।যদি আবেদন অনুমোদন করা হয় তাহলে গোটা প্রক্রিয়ার যেন ভিডিওগ্রাফি হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × five =