শীর্ষ আদালতের দেওয়া ডেডলাইন পার। তবু রাজ্য সরকারের তরফে এল না ডিএ সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি। উল্টে আরও সময় চাইছে রাজ্য। আর এখানেই অনেকের ধারনা, ডিএ না দেওয়ার ক্ষেত্রে আদতে এটা টালবাহানা। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ২৫ শতাংশ বকেয়া দেওয়ার নির্দেশ কার্যকর না হওয়ার কারণে আদালত অবমাননার নোটিস পাঠিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে সূত্রে খবর, এদিন রাজ্য সরকার চিঠি পাঠিয়ে তাতে সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী রায় কার্যকর করার জন্য সময় চেয়েছে। এখনই এই ডিএ–এর টাকা দেওয়া সম্ভব নয়, আরও ছয় মাস সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিন সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল জানান, ‘ রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের ডিএ মামলায় আমাদের সংগঠন সরকারী কর্মচারী পরিষদ সহ সব রেসপন্ডেন্টদের কাছে চিঠি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী রায় কার্যকর করার জন্য সময় চেয়েছেন। কারণস্বরূপ যে সব যুক্তি রাজ্য সরকার দেখিয়েছে তার কোনও সারবত্তা নেই। আদালত অবমাননার দায় এড়ানোর কৌশল ছাড়া আ রকিছুই নয়।বিশেষ করে প্রায় দশ বছর ধরে চলা এই মামলায় এখন রাজ্য সরকার এই ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেবার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ঋণ নেওয়ার একটা গল্প ফেঁদেছেন। এর সর্বাত্মক বিরোধিতা আমরা করব।সুপ্রিম কোর্টের ডেডলাইন মেনে ডিএ দেওয়া হয়নি।তাই মামলাকারীদের তরফে দেওয়া হচ্ছে অবমাননার নোটিস।’
প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে বকেয়া ডিএ–র ২৫ শতাংশ দিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেছিলেন, এটা বিপুল পরিমাণ টাকা। এই টাকা দিতে হলে রাজ্য সরকারের কোমর ভেঙে যাবে। রাজ্যের তরফে আরও জানানো হয় যে, ডিএ পাওয়া কোনও অধিকার নয়। সাংবিধানিক অধিকার নয়। সম্ভব নয় এটা। এর পাল্টা শীর্ষ আদালত জানায় যে, বকেয়া ডিএ–র ২৫ শতাংশ দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন অগাস্ট মাসে ধার্য করা হতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় করোল।