রেশন দোকানে খাদ্যসামগ্রী নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছানো নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ খাদ্য দপ্তরের

রেশন দোকানে খাদ্যসামগ্রী যাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছায় তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিল রাজ্যের খাদ্য দপ্তর। আর সেই কারণেই সরবরাহ ব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরে সময়সীমায় আনা হয়েছে কিছুটা পরিবর্তন। এই প্রসঙ্গে খাদ্য দপ্তরের এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, গম ও চালের বরাদ্দ রেশন ডিলারদের হাতে পৌঁছাতে হবে বিগত মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে। আটার ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ বরাদ্দ বিগত মাসের শেষ তারিখের মধ্যে, আর বাকি ৩০ শতাংশ ওই মাসের ৫ তারিখের মধ্যে সরবরাহ করতে হবে। আটার ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সীমাবদ্ধতাকেই কম সময়সীমার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগেভাগে খাদ্য পৌঁছলে গ্রাহকদের সময়মতো বণ্টন করতে সুবিধা হবে।
তবে নতুন নির্দেশিকা আসার পরই রেশন দোকানগুলির পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু। এই প্রসঙ্গে তিনি অবশ্য জানান, ‘খুব বেশি পরিমাণে আগাম খাদ্য পাঠানো হলে মজুত করে রাখার সমস্যা দেখা দিতে পারে। দোকানের পরিকাঠামো সীমিত। বিষয়টি আমরা খাদ্য দপ্তরকে জানিয়েছি।’
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, খাদ্য দপ্তরের তিন ধাপের সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রথমে খাদ্যশস্য বরাদ্দ হয়, তারপর তা ডিস্ট্রিবিউটর ও হোলসেলারদের মাধ্যমে পৌঁছয় রেশন ডিলারদের কাছে। কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক সম্প্রতি রাজ্যগুলিকে তিন মাসের খাদ্য মজুত আগাম তোলার নির্দেশ দিয়েছে। সেই অনুসারে, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের অধীন গ্রাহকদের জন্য নির্ধারিত খাদ্য অন্তত ৪৫ দিন আগে তুলে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্যের খাদ্য দপ্তর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 7 =