শিয়ালদহ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পাশে অস্ত্রসহ যাঁদের গ্রেফতার করা হয়, তাঁরা প্রত্যেকেই উচ্চ শিক্ষিত। সোমবার গ্রেফতার করা হয় এই পাঁচজনকে। তবে এই ঘটনার পর একটা প্রশ্নই সবার মনে ঘোরাফেরা করছে যে কেন তাঁরা কলেজের পাশে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে জড় হয়েছিলেন তা নিয়েই। সঙ্গে এ প্রশ্নও উঠেছে, কোথা থেকেই বা পেলেন এই অস্ত্র? আর এই উত্তর খুঁজে চলেছে কলকাতা পুলিশ। এখনও পর্যন্ত জেরায় যা উঠে এসেছে, তাতেও ধোঁয়াশা কাটেনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা শহরে এসে প্রচুর টাকা উপার্জন করার পরিকল্পনা ছিল ওই পাঁচ যুবকের। পুলিশের কাছে এ কথাই জানিয়েছেন অভিযুক্তরা। যদিও পুলিশের ধারনা, টাকা উপার্জন করা নয়, আরও বড় কিছু করার ছক ছিল তাঁদের। তা না হলে, তাঁদের হাতে বিদেশি অস্ত্র থাকবে কেন! আর কলকাতা শহর বেছে নেবার নেপথ্যে কে বা কারা, তা জানতে মরিয়া স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা। যদিও গোয়েন্দাদের প্রশ্নের সামনে মুখ খুলছেন না অভিযুক্তরা। এদিকে ধৃতদের বয়ানে মাঝে মাঝেই অসঙ্গতি ধরা পড়ছে বলেও জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশ সূত্রে।
এদিকে কলকাতা পুলিশ তদন্তে নেমে এও জানতে পেরেছে, শিয়ালদহ স্টেশন লাগোয়া জায়গায় নজর ছিল অভিযুক্তদের। তাঁদের দেওয়া নাম ও ঠিকানা নিয়েও সন্দেহ আছে গোয়েন্দাদের। তাই তাঁদের সমস্ত তথ্য উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই তথ্য পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে লালবাজার।
প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ বৈঠকখানা থেকে ৫ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কথায় অসঙ্গতি লাগায় তল্লাশি চালানো হয়। একটি সেমি অটোমেটিক বন্দুক, সিঙ্গল শর্টার, ২৬সেন্টিমিটার লম্বা নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্রও ছিল না বলেও জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে।