বিহারের মুঙ্গেরে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের অভিযান। আর সেখান থেকে হদিশ মিলল অস্ত্র কারখানা এবং অস্ত্র ভাণ্ডারের। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল, গোটা বিষয়টি এড়ানোর জন্য এই অস্ত্র কারখানা তৈরিকে চাপা দিতে সর্বসমক্ষে চলছিল প্লেট তৈরির কাজ। ফলে সকলে জানতেন ওখানে তৈরি হয় প্লেট।
সূত্রে খবর, মুঙ্গেরের তারাপুরে একটি বাড়িতে আন্ডার গ্রাউন্ড চেম্বার বানিয়ে অস্ত্র কারখানা তৈরি করা হয়। যেখানে খাবারের প্লেট তৈরির আড়ালে চলত এই কারবার। সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশ ও বিহার পুলিশের এসটিএফ যৌথভাবে অভিযান চালায় তারাপুরের ওই বাড়িতে।
কলকাতা পুলিশের এসটিএফ সূত্রে খবর, ওই বাড়ির মালিক মহম্মদ মঞ্জির হোসেন। দীর্ঘদিন ধরেই ওই বাড়িতে বেআইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করা হত বলে এসটিএফ সূত্রে খবর। কারখানা থেকে ৭টি সেভেন এমএম পিস্তল, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির অত্যাধুনিক সরঞ্জাম, আগ্নেয়াস্ত্রের প্রচুর যন্ত্রাংশ উদ্ধার হয়েছে। বাড়ির মালিক মহম্মদ মঞ্জির হোসেন–সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে তদন্তকারীরা বলছেন, বাংলার বুকে যে ছোট অস্ত্র উদ্ধার হয়, সবই মোটামুটি বিহারের মুঙ্গের থেকে আনা হয়। বাংলায় যারা ধরা পড়েছিল, সেই সূত্র থেকে খবর পান তদন্তকারীরা। গত তিন বছর ধরে বিহার, ঝাড়খণ্ড ও কলকাতা পুলিশ এই ধরনের অভিযান চালাচ্ছে। গত তিন বছরে এই নিয়ে ১৪ তম অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। বেআইনিভাবে অস্ত্র তৈরি বন্ধ করতেই এই অভিযান। তাতেই আমদানি রোখা সম্ভব। শুধু বাংলা নয়, পড়শি দেশ বাংলাদেশেও বিহারে থেকে অস্ত্র যেত।