মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই হাতজোড় করে বার্তা দিয়েছেন যাতে কোনও রকম বিভ্রান্তমূলক পোস্ট কেউ না করেন। একইসঙ্গে সবাইকে শান্ত থাকার বার্তাও দেন তিনি। জনগণের পাশাপাশি সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদেরও বিতর্কিত পোস্ট থেকে বিরত থাকারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নির্দেশের পরই কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে। বিশেষ করে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর।
বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির আঁচ যাতে এ দেশে না পড়ে সেই ইতিমধ্যেই সতর্ক বিএসএফ। অপরদিকে, সতর্ক রয়েছে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য পুলিশও। সীমান্তবর্তী এলাকার পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার উপরও বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে। যদিও, সীমান্ত পাহারায় দায়িত্ব বিএসএফের। কিন্তু তৈরি রয়েছে নবান্নও। রাজ্য পুলিশকে অপ্রীতিকর যে কোনও ঘটনার পূর্বাভাস পেলে তা জানাতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া যখন খুব সক্রিয়।
এদিকে, দিল্লি থেকে সীমান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের বিএসএফ জওয়ান কর্তারা। বিএসএফের ডিজির স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে মাছিও গলতে না পারে। সুন্দরবন, উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু জায়গায় বাড়তি নজর দিচ্ছেন জওয়ানরা। সঙ্গে এও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,কোনওভাবেই গুলি চালানো যাবে না। রবার বুলেট প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও তা খুব এমারজেন্সি হয়ে পড়লে। আগে সীমান্তকে সুরক্ষিত করতে হবে।