উচ্চমাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁস রুখতে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে সংসদ। এবার পর্ষদের তরফ থেকে স্কুলগুলোতে পাঠানো হচ্ছে মেটাল ডিটেক্টর। প্রসঙ্গত, গত বছর স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলোতে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি চালানো হয় পুলিশের তরফ থেকে। এ বছর থেকে সেই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে চলেছে শিক্ষা সংসদ। এবছর পরীক্ষার্থীদের তল্লাশিতে আর পুলিশ নয়। এবছর সেকাজ করবেন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। আর সেই কারণেই যে সমস্ত স্কুলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে, তাদের হাতে শিক্ষা সংসদের তরফ থেকেই তুলে দেওয়া হবে একটি ‘মেটাল ডিটেক্টর’।
কয়েকবছর ধরে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই সমাজমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরপর ২০২৪ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম ছিল, স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিকে চিহ্নিত করে সেখানে ‘মেটাল ডিটেক্টর’- এর মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি। সংসদের এক আধিকারিক জানান, একটি করে ‘মেটাল ডিটেক্টর’ স্কুলগুলিকে দেওয়া হলেও এর মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ করাতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়। তাই স্কুলগুলিকে কোনও প্রশাসনিক দপ্তর থেকে আরও একটি ‘মেটাল ডিটেক্টর’ জোগাড় করার পরামর্শ দিয়েছে সংসদ। এছাড়াও প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে ‘বাছাই’ ক্ষেত্রেও নয়া ব্যবস্থা আনতে চলেছে সংসদ। এতদিন প্রশ্নপত্র প্রথমে ‘ট্রেজারি’ বা নির্দিষ্ট থানায় যেত। সেখান থেকে সেগুলি ভাগ করে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হত। সেখান থেকে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যেত সমস্ত প্রশ্নপত্র। এর পর পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান পরীক্ষকের ঘরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে তা পরীক্ষার ‘হল’ অনুযায়ী পুনরায় ‘সিল’ করে পাঠানো হত। এবার সংসদের তত্ত্বাবধানে ছাপাখানাতেই প্রশ্নপত্র বাছাই হবে। পরীক্ষার্থী সংখ্যার উপর নির্ভর করে প্রশ্নপত্রের প্যাকেটিং করা হবে। পরীক্ষার্থীদের সামনেই পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিট আগে খোলা হবে এই প্রশ্ন প্যাকেট।