বিগত কয়েকদিন ধরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। তোলপাড় হয়েছে গোটা রাজ্য। এরই মাঝে রবিবার সকালে হোস্টেলে ঘটে গেল চুরির ঘটনা। আবাসিকদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা পড়ুয়াদের ঘরে ঢুকে মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গেছে। রবিবার সকালে মেন ক্যাম্পাসের ফিজিক্যাল এডুকেশন হস্টেলের আবাসিক ছাত্ররা অভিযোগ জানান, তাঁদের ঘর থেকে দু’টি ল্যাপটপ এবং চারটি মোবাইল চুরি গিয়েছে। যার মধ্যে ছিল, মোবাইল ও দুটি ল্যাপটপ। সেই চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে খবর দেন পড়ুয়ারা। সেই সঙ্গে খবর দেওয়া হয় যাদবপুর থানাতেও। এদিকে কে বা কারা চুরি করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। হস্টেল চত্বরে সিসিটিভি না থাকার ফলে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই ঘটনা সামনে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে একজন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়। তবে স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর যকন তদন্ত চলছে দ্রুত গতিতে তখনই এমন ঘটনায় সবার মনেই তৈরি হয়েছে বড় এক প্রশ্নচিহ্ন।
এদিকে তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই সামনে আসছে নতুন সব তথ্য। পুলিশের হাতে ধৃত প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে এসেছিল দুটো নাম তাঁরা বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত। শনিবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের বয়ানে অসংগতি মেলায় রবিবার ভোরে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে ওই দুজন হলেন, দীপশেখর দত্ত এবং মনতোষ ঘোষ।
উল্লেখ্য, বুধবার মধ্যরাতে এই হস্টেলেরই এফ-২ ব্লকের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমনিতেই উত্তেজনা রয়েছে গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে। মৃত্যুর আগে স্বপ্নদীপকে যে অত্যাচার করা হয়েছে সে কথা শনিবারই আদালতে জানায় পুলিশ। এদিকে, যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্রর মৃত্যুতে ধৃত প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। শুক্রবার এই ঘটনায় সৌরভকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরপরই গ্রেফতার হলেন মনতোষ এবং দীপশেখর।