ইডির পূর্বাঞ্চলীয় শাখার স্পেশাল ডাইরেক্টর পদে সুভাষ আগারওয়ালের জায়গায় এলেন সত্যব্রত কুমার। পূর্বাঞ্চলীয় শাখার সদর দফতর কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সেই। সূত্রের খবর, ২০০৪ সালের ব্যাচের আইআরএস অফিসার এই সত্যব্রত। নীরব মোদি মেহুল চকসি, বিজয় মাল্য, ইকবাল মির্চির-র মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তে যুক্ত ছিলেন তিনি।
নীরব মোদি ও মেহুল চকসির আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের মামলায় দেশের মধ্যে প্রথম সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ফিরিয়েছেন সত্যব্রত। ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে যে, এবার বাংলায় দুর্নীতির লুকিয়ে রাখা টাকা খুঁজে বের করতেই সত্যব্রতকে এই গুরু দায়িত্ব দিল দিল্লি দিল কি না তা নিয়েই।
ওয়াকিবহাল মহলের এক বড় অংশের মতে, রেশন দুর্নীতি থেকে শিক্ষা দুর্নীতি, একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ কেসে অভিযুক্তদের জামিন নিয়ে ক্ষুব্ধ দিল্লি। একইসঙ্গে আরজি করের দুর্নীতির তদন্ত চলছে জোরকদমে। সিবিআইয়ের সঙ্গে তৎপর ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকেরাও। হাইকোর্ট থেকে জল গড়াচ্ছে সুপ্রিম কোর্টেও। ঠিক সেই সময়েই বদলি পূর্বাঞ্চলীয় শাখার প্রধান স্পেশাল ডাইরেক্টর। সে কারণেই তা নিয়ে চর্চা নতুন মাত্রা পেয়েছে। যদিও এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের অফিসারদের দাবি, এটা রুটিন বদলি।