বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজেপি বিধায়ক, সাংসদদের একাংশ সরব হয়েছেন বাংলা ভাগ নিয়ে। বিজেপি-র একাংশ নেতারা বঙ্গভঙ্গের পক্ষে সওয়াল করলেও ঠিক সেই সময় উল্টো সুর বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। তিনি জানান, এইসব বাংলা ভাগ চান না। একদিকে যখন খোদ দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার উত্তরবঙ্গকে আলাদা করে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে জোড়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন সেখানে শুভেন্দুর এই মন্তব্য বঙ্গ রাজনীতিতে তৈরি হল নয়া চর্চার বিষয়।
সম্প্রতি, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের পর দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে মালদা-মুর্শিদাবাদ জেলাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তালিকাভুক্ত করার দাবি তুলেছিলেন মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শুভেন্দু জানান, ‘ওটা ওঁর ব্যক্তিগত মতামত। বিজেপির পরিষ্কার স্ট্যান্ড আমরা বাংলা ভাগ, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, আলাদা রাজ্য চাই না। আর এই কথাটা দলগতভাবে আমি বলতে পারি।’ তবে শুভেন্দু এর পাশাপাশি এও বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে হবে। ৭২টি জায়গায় বিএসএফ-কে জমি দেওয়া হয়নি কাঁটা তারের বেড়া দিতে। সেই জমি অবিলম্বে দিতে হবে এবং উত্তরবঙ্গের বঞ্চনা নিরসনে কাজ করতে হবে।’
বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ‘মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় বিভিন্ন প্রাসাদ বানিয়েছেন। তবে উত্তরবঙ্গের মহাকরণ উত্তরকন্যা সেখানে কোনও সচিব বসেন না। সেখানকার মানুষকে কলকাতা আসতে হয়। জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চ এখনও পূর্ণতা পায়নি। উত্তরবঙ্গের মানুষ কলকাতা আসবে না। তাদের পরিষেবা সেখান থেকেই হবে। ভারতীয় জনতা পার্টি তাদের সঙ্গে রয়েছে।’
এদিকে আবার এদিন অধিবেশন কক্ষেই মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের এই বঞ্চনার ইস্যুকে নস্যাৎ করে দিয়ে বলেন, ‘১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য আমরা খরচ করেছি। উত্তরবঙ্গের সমস্ত উন্নয়ন আমরা করেছি। আর ভোটের সময় বিজেপি খালি ভাগের রাজনীতি করে।’