দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে সরকারের করণীয় কাজের তালিকা দিলেন শুভেন্দু

দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে সরকারের করণীয় কাজ কী তার তালিকা দিয়ে সরকারকে সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বারাসতের বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করার পর কলোনি মোড়ে একটি পথসভা করেন শুভেন্দু। সেখানেই রাজ্যের মন্ত্রী ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন তিনি।

এদিন পথসভা চলাকালীন শুভেন্দু দাবি করেন, ‘অবিলম্বে রথীন ঘোষকে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ছাঁটাই করতে হবে। পাশাপাশি এ দাবিও তোলেন,  সমস্ত ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি ভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তদন্তের ক্ষেত্রে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত হস্তান্তর করতে হবে এনআইএ-কে৷’ এছাড়াও, দত্তপুকুর থানার আইসি-কে সাসপেন্ড না করা হলে বারাসত পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়েরও হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু।

এদিন বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ নীলগঞ্জের বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করেন। বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করার পরে এলাকার কলোনি মোড়ে দলের এক পথসভায় অংশ নেন শুভেন্দু।

সেখানেই রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসল অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপির দাবি পূরণ না হলে সাত দিনের মধ্যে বারাসত পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করা হবে।’ এরই পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী এও জানান, গ্রামবাসীরা তাঁকে জানিয়েছেন পুলিশ এবং প্রশাসনের একাংশের মদতেই এই বেআইনি বাজি কারখানা রমরমিয়ে চলত। এরপরেই শুভেন্দুর বিস্ফোরক অভিযোগ, আইসি দত্তপুকুর এবং খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের যৌথ ব্যবসা ছিল এই বেআইনি বাজি তৈরির। এদিন বিধানসভার পর ফের এই পথসভা থেকে জানান, বিস্ফোরণ হয়েছে আরডিএক্স ব্যবহার করায়।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় বারাসতের নীলগঞ্জের একটি বেআইনি বাজি কারখানায়। ঘটনায় ধৃত ১।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + 3 =