আদালতে স্বস্তি রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী সূর্যনীল দাসের। মঙ্গলবারের শুনানিতে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে রাজ্য জানিয়ে দেয়, যে মামলার প্রেক্ষিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাতে হাজিরার প্রয়োজন নেই শুভেন্দুর আইনজীবীর। রাজ্যের আশ্বাসের ভিত্তিতে বিচারপতি কৌশিক চন্দ এরপরই নির্দেশ দেন, বুধবার লালবাজারে আর হাজিরা দিতে হবে না শুভেন্দুর আইনজীবী সূর্যনীলকে। ফলে একদিকে, মঙ্গলবার আদালতে যেমন স্বস্তি মিলল শুভেন্দুর আইনজীবীর তেমনই এদিন শুভেন্দুকে সন্দেশখালি যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁকে লালবাজারে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিল লালবাজারের ট্রাফিক বিভাগের স্পেশ্যাল রেড সেকশন। তার প্রেক্ষিতেই আদালতের দ্বারস্থ হন সূর্যনীল। আদলতে শুভেন্দুর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, শুভেন্দু অধিকারীর সন্দেশখালি অভিযান নিয়ে মামলা দায়ের করার পর থেকে তিনি বিভিন্ন ভাবে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। এরপরই লালবাজারের তলব করা হয় সূর্যনীলকে। যদিও কোন ধারায় সূর্যনীলকে নোটিস পাঠানো হয়েছে, তা উল্লেখ করেননি লালবাজারের এসিবি। আর সেই বিষয়টি উল্লেখ করে সোমবারই বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলা করেন আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেন শুভেন্দু। সঙ্গে ছিলেন আরও তিন বিধায়ক। কিন্তু সন্দেশখালি যাওয়ার পথেই তিনি বারবার পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। পরে সরবেড়িয়া পর্যন্ত পৌঁছতে পারেন। কিন্তু সেখানে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দর্শিয়ে আর এগোতে দেননি তাঁকে। রাস্তায় ধরনা অবস্থানে বসেন শুভেন্দু। তারপর সেখান থেকে বিকালে ফেরত আসেন। সেদিনই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলেন শুভেন্দু। পরদিন সন্দেশখালি যেতে চেয়ে আদালতে মামলা করেন শুভেন্দু। সেই মামলার আইনজীবী সূর্যনীল। অভিযোগ, তারপর থেকেই তিনি হেনস্থার শিকার হচ্ছেন।