শাক সব্জির দাম অগ্নিমূল্য  হওয়ায় তোপ শুভেন্দুর

লঙ্কা থেকে পটল, টমেটো থেকে ঢ্যাঁড়শ, মাঝ-মাংসের অগ্নিমূল্য নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। ৩০০-র গণ্ডি পার করে গিয়েছে আদার দাম। এরইমধ্যে সবজির লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সূত্রে খবর, সোমবার বাজারে নামতে চলেছে টাস্ক ফোর্স। এদিকে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর দাবি, প্রশাসনিক অব্যবস্থার জন্যই দাম বাড়ছে শাক-সবজির। টাস্ক ফোর্সের কাজের কোনও প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না, এমনও অভিযোগ করতে শোনা যায় বিরোধী দলনেতাকে। এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। স্পষ্ট ভাষায় জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রী অনেক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল হঠাৎ করে বাজার-হাটে শাক-সবজির দাম বেড়ে গেলে তা যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু আদতে এর কোনও প্রতিফলনই দেখা যাচ্ছে না।‘ এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দুর দাবি, লোক দেখানো পদক্ষেপ করে ‘সুফলা বাংলা’ বিপণিতে দাম খানিক কমালে কোনও লাভ হয় না। ৫ শতাংশ লোকের উপরেও এর কোনও প্রভাব পড়বে না।

এদিকে সোমবার থেকেই ইবি ও টাস্ক ফোর্সকে বাজারগুলির উপর নজর রাখতে বলেছে নবান্ন। চলবে অভিযানও। এদিকে টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের মতে গরমের জেরে আনাজের ফলন কম হয়েছে। কিন্তু, চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে। তাই এই অবস্থা। তবে দিন পনেরোর মধ্যেই অবস্থার পরিবর্তন হয়ে যাবে। অন্যদিকে শুভেন্দুর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বেঁধেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও। বলেন, ‘আসলে বাংলায় তো কেউ দেখার নেই। সবাই লুঠপাঠ করছে। মন্ত্রীরা লুঠপাঠ করছে। ব্যবসায়ীরাও করছে। সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ছে।’

এরই প্রত্যুত্তরে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন জানান, ‘গোটা ভারতেই টমেটোর দাম ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পেট্রলের দাম ডিজেলের দাম বিজেপি সরকার একশো টাকার কাছাকাছি করে দিয়েছে। তাই ট্রাকে করে সবজি পরিবহণেও অনেক খরচ হচ্ছে। তার ছাপ পড়ছে বাজারে। তাই এর দায় কেন্দ্রীয় সরকার এড়াতে পারে না।‘

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − six =