জেল হেপাজতে অসুস্থ সুজয়কৃষ্ণ, ভর্তি করা হল এসএসকেএম-এ

সোমবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন কালীঘাটের কাকু। এরপরই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়ে এখন তিনি জেলবন্দি। তবে এদিন বুকে ব্যথা অনুভব করার পরই  সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে তড়িঘড়ি রাজ্যের সর্বসেরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই মুহূর্তে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা এই মুহূর্তে তাঁকে পরীক্ষা করছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে প্যারোল শেষ হওয়ার তিন দিনের মধ্যেই অভিযুক্তর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ ছিল ইডি আদালতের। তার মধ্যেই এই অসুস্থতা দেখা দেওয়ায় প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে কালীঘাটের কাকুকে একাধিকবার ডেকে পাঠায় সিবিআই। একবার সিবিআই জিজ্ঞাসবাদের মুখোমুখিও হন তিনি। স্ত্রীয়ের অসুস্থতার কথা বলে একাধিকবার জেরাও এড়িয়েছেন তিনি। পরবর্তীকালে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডিও। তল্লাশির পর ফের সুজয়কৃষ্ণকে তলব করা হয়। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডি। সুজয়কৃষ্ণের গ্রেপ্তারির পর থেকে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী বাণী ভদ্র। সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রীয়ের। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেও ছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। স্ত্রীয়ের মৃত্যুর পর শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান কালীঘাটের কাকু। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ফের তাঁকে জেলে ফিরে যেতে হয়।

নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বেসরকারি বিএড কলেজ সংগঠনের সভাপতি তাপস মণ্ডলের মুখে প্রথম শোনা যায় কালীঘাটের কাকুর নাম। তাপস দাবি করেন, বলাগড়ের বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা  কুন্তল ঘোষ কালীঘাটের কাকুকে অর্থাৎ এই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে টাকা দেওয়ার কথা বলে তাঁর থেকে বড় পরিমাণের অর্থ নিয়েছেন। পরবর্তীকালে গোপাল দলপতির মুখেও সুজয়কৃষ্ণর নাম শোনা যায়। যদিও প্রকাশ্যে কালীঘাটের কাকুকে টাকা দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন কুন্তল ঘোষ। তবে ইডি আধিকারিকদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বিপুলভাবে লাভবান হয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। তাঁর একাধিক সম্পত্তির নাগালও পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।

সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারির পর থেকেই তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। একাধিক সাক্ষাতকারে কালীঘাটের কাকু জানান, তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তরে কাজ করেন। অভিষেককে ফাঁসানোর চেষ্টা করে কোনও লাভ হবে না বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 12 =