তিন বছর হল প্রয়াত হয়েছেন সুজয়কৃষ্ণর স্ত্রী বাণী ভদ্র। সামনেই স্ত্রীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। এবার সুজয়কৃষ্ণ তা পালন করতে চান একটু ঘটা করেই। স্ত্রীয়ের এই তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকীতে পরিচিতদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতেও চান তিনি। আর একটু বড়সড় যেহেতু আয়োজন তাই তা তিনি করতে চান বাড়ির বাইরে কোথাও। সূত্রের খবর,এই অনুষ্ঠান করার আর্জি জানিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তারের পর জেলবন্দি ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। তাঁর গ্রেপ্তারির পর থেকেই অসুস্থ ছিলেন স্ত্রী বাণী ভদ্র। এরপর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিনি। পরে তিনি অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত হন। তবে এবার সেই সুজয়কৃষ্ণ-ই ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন স্ত্রীয়ের বাৎসরিক অনুষ্ঠান ইস্যুতে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, নিয়োগ মামলায় ২০২৩ সালে সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করে ইডি। পরে এই একই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআইও। তবে বেহালার বাড়িতেই আপাতত রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। এদিকে তিনি যে জামিন পেয়েছেন সেই জামিনের শর্তে উল্লেখ আছে, চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনও কারণে বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না সুজয়কৃষ্ণ। এমনকী বাইরের কারও সঙ্গে তিনি দেখাও করতে পারবেন না। এছাড়া সুজয়কৃষ্ণের গতিবিধির উপর নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশও দিয়েছিল হাইকোর্ট।
আদালতে আর্জি জানানোর সময় সুজয়কৃষ্ণ এও জানিয়েছেন যে, বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি। তাঁর বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সুজয়কৃষ্ণের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ জানতে চান, কেন তিনি বাড়ির বাইরে অনুষ্ঠান করতে চান। বাড়িতে অনুষ্ঠান করতে কেন সমস্যা,সে ব্যাপারেও জানতে চান বিচারপতি। এর পাশাপাশি এই মামলায় সিবিআইকে তাদের অবস্থান জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী শুক্রবারের মধ্যে তা আদালতকে জানাতে হবে।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় জেলে থাকাকালীন অসুস্থও হয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল সুজয়কৃষ্ণকে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত রয়েছেন তিনি। তাঁর গতিবিধির উপর নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনাও ইতিমধ্যে সংগ্রহ করেছে সিবিআই। ইডিও তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা আগেই সংগ্রহ করেছে।