কিছুটা স্বস্তি সুজয়কৃষ্ণর। অবশেষে আর্জি শুনল কলকাতা আদালত। মঙ্গলবার, ইডির পর সিবিআইয়ের মামলা থেকেও দিন কতকের জন্য রেহাই পেলেন তিনি। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সুজয়কৃষ্ণকে শর্তসাপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন কলকাতা হাইকোর্ট। মূলত স্বাস্থ্যজনিত ও মানবিক কারণেই এই সুজয়কৃষ্ণের আবেদন মঞ্জুর করে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে ইডির মামলা থেকে মুক্ত হতেই ‘কাকু’কে নিজের হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। তারপর থেকেই আবার শুরু হয়েছিল টানাপোড়েন। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যের দিক থেকে তো বটেই, মানসিক ভাবে নাকি বেশ ধুঁকছিলেন প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
মঙ্গলবার আদালতের পর্যবেক্ষণ, সুজয়কৃষ্ণের স্বাস্থ্য়ের অবস্থা আগের তুলনায় অনেকটাই পতন হয়েছে। এই সময়ের মধ্য়ে তাঁর মৃত্যু হলে মামলার ক্ষেত্রে বাড়তি চাপ হবে। সেই কারণে চিকিৎসা সংক্রান্ত ও মানবিক কারণেই ‘কাকু’কে রেহাই দিলেন বিচারপতি।
আগামী মাসের শেষ পর্যন্ত জামিন পেলেও, মঙ্গলবার বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সুজয়কৃষ্ণকে দেওয়ার শর্তের একটি লঙ্ঘন হলে সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হবে জামিন। জেলমুক্তি মিললেও বেহালার বাড়িতেই যে ঘরবন্দি থাকতে হবে সুজয়কৃষ্ণকে সেই বিষয়টাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিচারপতি।
আদালত সূত্রে খবর, অন্তর্বর্তী জামিনে আর বেশ কয়েকটি শর্ত লাগু করা হয়েছে সুজয়কৃষ্ণর ওপর। যেমন, সুজয়কৃষ্ণকে থাকতে হবে বেহালার বাড়িতেই। শুধুমাত্র চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজেই নিজের বাড়ির বাইরে পা রাখতে পারবেন তিনি। পাশাপাশি, তাঁর দু’টি মোবাইল নম্বরও দিয়ে রাখতে হবে সিবিআইকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০ মার্চ।