অবশেষ আদালতে এলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। এর আগে পাঁচ বার তলব করা হযেছে সুজয়কৃষ্ণকে। প্রতিবারেই হাজিরা দিতে টালবাহানা করেন তিনি। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারকের উপস্থিতিতে এদিন তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চায় সিবিআই। এর আগে আদালতে ‘কাকু’কে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিলেও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বিচারকের ডাকা সাড়া দেননি তিনি। ফলে তদন্ত চলে স্লথ গতিতে। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকুর’ কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের যেদিনই ‘ডেট’ থাকে, সেইদিনই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরে এইভাবেই চলছিল কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর। কোনও ভাবেই তাঁর গলার নমুনা সংগ্রহ করতে পারছিলেন না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
‘সুজয়কৃষ্ণের এই হাজিরা ও কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের উপরই অনেকাংশে দাঁড়িয়ে আছে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সিবিআই তরফে সংগ্রহ করা হবে এই নমুনা। সেই জন্যই সশরীরে আদালতে হাজির হয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এরপর শুরু হবে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া। তারপর সেই নমুনার সঙ্গে তাদের কাছে থাকা নমুনাগুলি মিলিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, সিবিআইয়ের আগে একই ঝক্কি পোহাতে হয়েছিল ইডিকেও। ‘কাকু’র কণ্ঠস্বর সংগ্রহ করতে রীতিমতো কাল-ঘাম ছুটে গিয়েছিল তাদের। বারংবার অসুস্থতাকে ‘ঢাল’ করে আদালতে হাজিরা দেননি সুজয়কৃষ্ণ।
সম্প্রতি, সেই ইডির মামলাতেই জামিন পেয়েছেন তিনি। বারংবার অসুস্থতা। মাঝে জেলযাত্রার একটা পর্ব কেটেছে এসএসকেএম। তারপর অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির মামলা থেকে রেহাই পান সুজয়কৃষ্ণ। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে সুজয়কৃষ্ণকে শর্তসাপেক্ষ জামিন দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তবে হয়নি জেলমুক্তি। পাশাপাশি, পাসপোর্ট জমা রাখা, ট্রায়াল কোর্টে হাজিরা ও মোবাইল নম্বর একই রাখা-সহ একাধিক শর্ত আরোপ করা হয় তাঁর উপর।