প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় সিবিআইয়ের তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে প্রথমেই নাম সুজয়কৃষ্ণর

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার বিশেষ আদালতে তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিল সিবিআই। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। আদালত সূত্রে খবর, এই চার্জশিটে প্রথমেই নাম রয়েছে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। এছাড়াও এই  চার্জশিটে নাম রয়েছে অরুণ হাজরা ও তৃণমূলের যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।

শুক্রবার কলকাতা নগরদায়রা আদালতে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। জানা গিয়েছে, চার্জশিটে নতুন করে ২০১ ধারা অর্থাৎ তথ্য প্রমাণ লোপাটের ধারা যোগ করেছে সিবিআই। এছাড়া জালিয়াতি, প্রতারণা, দুর্নীতি দমন আইন ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের ধারাও রয়েছে চার্জশিটে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

সূত্রের খবর, মোট ১১ জন সাক্ষীর গোপন জবানবন্দিও নেওয়ার আবেদন করেছে সিবিআই।

এদিকে তথ্য প্রমাণ লোপাটের ধারাও যোগ করায়, এবার আরও বিপাকে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। এছাড়াও তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে মাথার ঘাম পায়ে ছুটেছে সিবিআইয়ের। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন সুজয় কৃষ্ণ। প্রথমে তাঁকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার করে। এরপর একই মামলায় তাঁকে সিবিআইও গ্রেফতার করে। দীর্ঘদিন প্রেসিডেন্সি জেলেই ছিলেন কালীঘাটের কাকু। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি আদালতে হাজিরা দিচ্ছিলেন না। এমনকী, তাঁর কণ্ঠম্বরের নমুনাও সংগ্রহ করা যাচ্ছিল না।

অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সিবিআই সুজয় কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের  নমুনা সংগ্রহ করে। এবার সেই সব তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই চার্জশিট জমা দিল সিবিআই।

এই মামলায় কালীঘাটের কাকু ও শান্তনুর নাম বারবার উঠে এলেও অরুণের নাম প্রথমবার সামনে এসেছে। অরুণ হাজরা বর্তমানে উত্তর কলকাতার বিজেপি নেতা বলে পরিচিত। আগে কংগ্রেস করলেও, কিছুদিন তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত থাকার পর তাপস রায়ের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন। ফলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সরাসরি কোনও বিজেপি নেতার নাম জড়াল। এই বিষয়ে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, ‘বহু পুরনো নেতা। সিনিয়র মানুষ। তাপস রায়ের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন। এখন তিনি বিজেপি করেন এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে চার্জশিটে নাম থাকা অরুণ হাজরা এই অরুণ হাজরা কি না, বলতে পারব না। যদি তাই হয় নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়ানো নিয়ে বিজেপি উত্তর দেবে।’

প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জামিন পান কালীঘাটের কাকু। তবে তিনি বাড়ি ছেড়ে কোথাও যেতে পারবেন না। সিবিআই-ও সর্বদা নজর রাখছে তাঁর গতিবিধির উপরে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 11 =

preload imagepreload image