সিবিআইয়ের দাবি মেনে কণ্ঠস্বরের নমুনা দিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এরপরই শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের মামলায় জামিন চাইলেন সুজয়কৃষ্ণ ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। আদালত সূত্রে খবর, স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ দেখিয়ে জামিন চান সুজয়কৃষ্ণ। তাঁর আবেদনের পর সিবিআইয়ের কাছে কালীঘাটের কাকুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট চাইল উচ্চ আদালত। মঙ্গলবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ওইদিনই পরবর্তী শুনানি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে শারীরিক অবস্থায় অবনতি হতে থাকে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর। একাধিকবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। তার মাঝে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে বারবার বাধা পাচ্ছিল তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। চারবার ব্যর্থ হয়ে অবশেষে মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারি ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বর রেকর্ড করা হয়। সিবিআই তা দিল্লিতে পাঠিয়ে নিজেদের কাছে থাকা অডিও ক্লিপের সঙ্গে তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখতে চায়। তা মিললে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অনেকটা সহযোগিতা হবে বলে মনে করেন তদন্তকারীরা।
এরপর শুক্রবার ফের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টে। তাতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী। এই মুহূর্তে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ জেল হাসপাতালে। দিনদিন অসুস্থতা বাড়ছে তাঁর, এই যুক্তিতে জামিনের গুরুত্ব বুঝিয়ে হাই কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সিবিআইয়ের কাছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট তলব করল বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে রিপোর্ট পেশ করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৮ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।