এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি সুজয়কৃষ্ণের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ

গত শুক্রবার অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করতে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। আদালত সূত্রে খবর, সোমবার ‘কাকু’র অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে কলকাতা আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।

দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর মানসিক ও শারীরিক অবনতিকে কাজে লাগিয়ে জেল হেপাজত থেকে আপাতত রেহাই পেয়েছেন তিনি। তবে ইডির মামলায় একেবারে রেহাই পেলেও, সিবিআই মামলায় এখনও ঝুলে সুজয়কৃষ্ণ। ফেব্রুয়ারি মাসে ‘কাকু’কে সেই মামলাতে অন্তর্বর্তী জামিন দেয় কলকাতা হাইকোর্টের অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

প্রসঙ্গত, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত জামিনে ঘর-বন্দি ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। গত শুক্রবার সেই জামিনেরই মেয়াদ বাড়াতে আর্জি জানান আদালতে।

তবে শুধু অন্তর্বর্তী জামিনই নয়, আরও একটি অস্বস্তি বোধ করছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। সুজয়কৃষ্ণের অভিযোগ, শর্তসাপেক্ষ অন্তর্বর্তী জামিনে থাকায় তার পিছনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সিবিআই সেই বাহিনীকে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ‘হাতিয়ার’ হিসাবে ব্যবহার করছে। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছিলেন, বাড়ির দোতলার দখল নিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, সারাদিন এসি চালিয়ে বসে আছে, বলে আদালতে অভিযোগ করেন সুজয়কৃ্ষ্ণ। শুধু তা-ই নয়, তাঁর আরও দাবি, নিচে শৌচাগার থাকা সত্ত্বেও ঘরের শৌচাগার ব্যবহার করছে বাহিনী। এমনকি, হাসপাতালে গেলে পিছু পিছু বাহিনীও হাজির হয়ে পড়ছে সেখানে। হাসপাতালের রুমে কারা যাচ্ছেন-আসছেন, রেজিস্টারও ধরে সেই বিষয়েও নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, অভিযোগ সুজয়কৃষ্ণের। আদালতে সেই প্রসঙ্গে মুখও খুলেছিলেন তিনি। এরপর সোমবার ‘কাকু’র বাহিনী নিয়ে তৈরি হওয়া বিড়ম্বনা নিয়ে সুরাহা দেয় আদালত। বাড়ির বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য ত্রিপল টাঙানোর নির্দেশের পাশাপাশি, সেই অস্থায়ী শেল্টারে বসার জায়গা ও ফ্যান রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পরবর্তী শুনানি ২২এপ্রিল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 5 =