কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী সুকান্তক মজুমদারকে বুধবার তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, ‘রাজনীতির নবজাতক’। বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন সুকান্ত। বৃহস্পতিবার এই বক্তব্যেরই পাল্টা প্রতিক্রিয়াও দিতে দেখা গেল বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদকে। কড়ায়-গণ্ডায় হিসাব কষে বুঝিয়েছেন কাকে-কাকে, কতবার তিনি হারিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বুধবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কুণাল ঘোষের প্রশংসার জবাবও দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘কুণাল ঘোষের কথাকে পজিটিভ অর্থে নিচ্ছি।’ এই কথার মধ্যেও যে কটাক্ষ রয়েছে, তাই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
সুকান্ত এ দিন নিজের বক্তব্য বলতে গিয়ে পদে-পদে কার্যত বেঁধেন কুণালকে। পোড় খাওয়া তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রকে যে লোকসভা ভোটে তিনি হারিয়েছেন, সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুল থেকে শুভেন্দু এসেছেন সে ব্যাপারেও উল্লেখ করতে দেখা যায় তাঁকে। এদিকে আবার বস্তুত, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘ব্যস্ততম’ নেতা বলেছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঠিক তার পরই শুভেন্দুর প্রশংসা ঝরে পড়েছিল শাসক দলের নেতা কুণাল ঘোষের গলায়। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক বলেছিলেন, ‘যেহেতু শুভেন্দু মমতার স্কুলের ছাত্র, ভাল স্কুলের তো একটা ছাপ থাকে! দেখতে হবে কোন স্কুলে অভিজ্ঞতাটা হয়েছে।’
এই প্রসঙ্গেই এদিন সুকান্ত বলেন যে, তাঁর নিজের বয়স পঁয়তাল্লিশ। আর বিপ্লব মিত্র তত বছর রাজনীতিতে কাজ করেছেন। বিপ্লব মিত্রও শুভেন্দুবাবুর মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন। ওঁর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়- দেব নিজে এসেছেন প্রচারে। তারপরও জেতেননি। সুকান্ত বলেন, ‘বিজেপির নবজাতকের যদি এতটা পাওয়ার হয়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুল নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিপ্লব মিত্রকে শ্রদ্ধা করি। ৪৫ বছর রাজনীতি করেছেন। তারপরও তিনি জেতেননি। তাহলে বান্দে মে কুছ দম হ্যায়।’ একই সঙ্গে তিনি কুণালকে রীতিমতো বিদ্ধ করে বলেন, ‘বাইশ বছর সংগঠনে কাজ করেছি। ওঁর মতো সাংবাদিকতা থেকে রাজনীতিতে আসিনি।’