স্বাধীনতার প্রাক-রাতে বড় আন্দোলনে নামবেন বাংলার নারীরা। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে মধ্যরাতে ‘পথের দখল’ নেবেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে তৃণমূল-বিজেপি-বাম ও কংগ্রেস। তবে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের মত ভিন্ন। তিনি লিখেছেন, ‘রাত জমায়েতের নাটক দরকার নেই।’ কিন্তু মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। এই আন্দোলনে তিনিও যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। সঙ্গে এও জানিয়েছেন, যোধপুর পার্কে নেতাজি মূর্তির সামনে ধরনায় বসবেন সুখেন্দু। এটা তাঁর ব্যক্তিগত কর্মসূচি বলেও জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। এই প্রসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘বুধবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ধরনায় বসব। যাদবপুরে একটা কর্মসূচি হচ্ছে। আমি অসুস্থ আমি সারা রাত থাকতে পারব না। তাছাড়া আমি ওখানে গেলে কেউ ভাবতে পারে আমি নাম কিনতে এসেছি।’
সুখেন্দু নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘লক্ষ লক্ষ বাঙালির মতো আমার বাড়িতেও একটি কন্যা ও ছোট নাতনি রয়েছে। তাই এই ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই সোচ্চার হওয়া উচিত। মহিলাদের প্রতি অনেক নিষ্ঠুরতা হয়েছে। আসুন একসঙ্গে প্রতিবাদ করি। তা সে যাই হোক না কেন।’
তবে সুখেন্দুর এই ভূমিকাকে কটাক্ষ করেন বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি লেখেন, এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরোনো স্ট্র্যাটেজি। উল্লেখ্য, রাতে পথ দখলের আন্দোলন মূলত কোনও রাজনীতির রঙ ছাড়া। সেখানে পতাকাবিহীন রাজ্যের হাজার-হাজার মহিলা আরজি করের নিকৃষ্ট এই ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হবেন বলে ঠিক করেছেন। খাস কলকাতার যাদবপুর, অ্যাকাডেমি ও কলেজ স্ট্রিটে প্রাথমিকভাবে আন্দোলন শুরুর কথা ঘোষণা করা হলেও ধীরে ধীরে সারা রাজ্যজুড়ে রাত্রিবেলা মহিলারা পথে নামবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। তবে এরই মধ্যে দেখা যায়, মধ্যরাতে আরজি করে সিপিআইএমের ছাত্র যুব মহিলারা বিক্ষোভের ডাক দেন। এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই-এর মহিলারা একই বিষয়কে ব্যবহার করে এবার আরজি কর-এর মঞ্চে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। এরপর দেখা যায় ধীরে ধীরে বিজেপি কংগ্রেসও মহিলাদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেন।