বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার ফের সাংসদ হচ্ছেন সুখেন্দুশেখর রায়, দোলা সেন, ডেরেক ও’ব্রায়েন সহ তৃণমূলের প্রার্থীরা। একইসঙ্গে বিজেপি মনোনীত রাজ্যসভার প্রার্থী অনন্ত মহারাজও অর্থাৎ নগেন্দ্র রায়ও সাংসদ হচ্ছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এদিকে অনন্ত মহারাজ-এর ডামি প্রার্থী হিসেবে বিজেপির তরফ থেকে রাখা হয়েছিল রথীন্দ্র বসুকে। রথীন্দ্র বসু এবং অনন্ত মহারাজ উভয়েই একই দিনে ১৩ জুলাই মনোনয়ন জমা করেছিলেন। এরপর শনিবার বেলা ১ টা নাগাদ সেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন বিজেপির ‘ডামি’ প্রার্থী রথীন্দ্র। এই ডামি প্রার্থী রাখার কারণ, অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভায় পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত বিজেপি নিয়েছে, তাতে শুরু থেকেই ঘোর আপত্তি ছিল তৃণমূলের। শাসক দলের কোনও কৌশলে বা অন্য কোনও কারণে যদি অনন্ত মহারাজের নাম বাতিল হয়ে যায়, তাই আগেভাগে প্রস্তুত ছিল বিজেপি। তৈরি রাখা হয়েছিল ‘ডামি’ প্রার্থী। রাজ্য বিজেপির সহসভাপতি রথীন্দ্র বসুকে ‘ডামি’ প্রার্থী করে মনোনয়ন জমা করানো হয় বিজেপির তরফ থেকে।
তবে এদিন রথীন্দ্রের মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর রাজ্যসভার নির্বাচনে ভোটাভুটির আর প্রয়োজন হচ্ছে না। বিনা লড়াইয়েই সংসদের উচ্চকক্ষে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূলের ছয় প্রার্থী দোলা সেন, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়, সামিরুল ইসলাম, প্রকাশ চিক বরাইক, সাকেত গোখলে। একইসঙ্গে বিজেপির প্রার্থী অনন্ত মহরাজ, যাঁকে নিয়ে এত বিতর্ক, তিনিও পৌঁছে যাচ্ছেন রাজ্যসভায়। উল্লেখ্য, সাকেত গোখলের আসনটিতে উপনির্বাচন হচ্ছে। লুইজিনহো ফেলেইরো সাংসদ পদের মেয়াদ পূরণের আগেই ইস্তফা দিয়েছেন, ফলে সেই আসনটিতে তৃণমূল প্রার্থী করেছে সাকেত গোখলকে। রাজ্যসভা উপনির্বাচনের আসনেও বিনা লড়াইয়ে জিতছেন গোখলে।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, সংসদ ভবনের উচ্চকক্ষে বাংলা থেকে মোট ১৬টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ছ’টি আসনের মেয়াদ ফুরোচ্ছে ১৮ অগাস্ট। অপর একটিতে উপনির্বাচন। যে ছ’টি আসন ফাঁকা হচ্ছে, তার মধ্যে তৃণমূলের পাঁচটি আসন। সেখানে দোলা, ডেরেক, সুখেন্দুদের পুনরায় রাজ্যসভায় পাঠানো হলেও টিকিট পাননি সুস্মিতা দেব, শান্তা ছেত্রীরা। সেই নিয়েই বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে বিভিন্ন কানাঘুষো শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এসবের মধ্যেই এবার বিনা লড়াইয়ে রাজ্যসভায় চলে যাচ্ছেন বিজেপির অনন্ত মহারাজ ও তৃণমূলের নতুন-পুরনো মিশেলের ছয় প্রার্থী।