মহিলাদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে ধরনায় বসেছিলেন। এবার ধর্ষণের মতো ঘটনা রুখতে আরও কড়া পদক্ষেপের আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। শুক্রবার সেই চিঠিতে একাধিক আর্জিও জানিয়েছেন বলে সূত্রে খবর। এর পাশাপাশি দেশের প্রতি জেলায় তিনটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের দাবিও জানিয়েছেন।
সূত্রে এ খবরও মিলেছে যে চিঠি তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পাঠিয়েছেন সেই চিঠির প্রথমেই আরজি করের নৃশংস ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন সুখেন্দুশেখর। এরপরই তিনি লিখেছেন, ‘দেশজুড়েই আমাদের মা-বোনেরা এমন নৃশংসতার শিকার হন। এটাই সময় কঠোর কেন্দ্রীয় আইন আনার।’ শীতকালীন অধিবেশনেই এই সংক্রান্ত বিল আনার আবেদন জানান তৃণমূল সাংসদ।
মহিলাদের উপর নৃশংসতা বন্ধ করতে, ঘরে-বাইরে তাদের সুরক্ষিত রাখতে এই আইন আনতে হবে। তৃণমূল সাংসদ লিখেছেন, হাসপাতাল, নার্সিংহোম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং মল, বাস, ট্রেন, কর্মক্ষেত্র সবজায়গায় মহিলাদের সুরক্ষিত করতে পদক্ষেপ করতে হবে। মহিলা নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ, সিসিটিভি বসাতে হবে। যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ, ধর্ষণ করে খুনের মতো অভিযোগ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। আর তা করতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে সাসপেন্ড করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ন্যূনতম পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিতে হবে।
মহিলাদের উপর নৃশংসতা রুখতে দেশের সব জেলায় ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনেরও দাবি জানান তৃণমূল সাংসদ। চিঠিতে তিনি লেখেন, দেশের প্রতি জেলায় কমপক্ষে তিনটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন করতে হবে। ৬ মাসের মধ্যে এই ধরনের মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। তৃণমূল সাংসদ এও জানিয়েছেন, এই ধরনের মামলার রায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। যাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ে। নির্যাতিতা কিংবা তাঁর পরিজনকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও যাতে ওই আইনে থাকে, সেকথা লিখেছেন সুখেন্দুশেখর। সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য ও সরকারি চাকরি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।