আরজি করের ঘটনায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন হরিদেবপুরের ডাক্তার দেবাশিস চক্রবর্তী। এরপরই তাঁকে বেহালা থানা থেকে সমন পাঠানো হয়। প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বর আরজিকরের ঘটনার প্রতিবাদে রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়। তাতে পথে নেমেছিলেন হরিদেবপুরের চিকিৎসক দেবাশিস চক্রবর্তীও। ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, মদনমোহন তলায় রাস্তার মধ্যে ছবি আঁকছিলেন। সেই সময় পুলিশের একটি গাড়ি এসেছিল। গাড়িটিকে অন্যদিক দিয়ে ঘুরে যেতে বলা হয়। পুলিশ অন্য রাস্তা দিয়ে চলেও যায়। এরপরই শুক্রবার দেবাশিস চক্রবর্তীর কাছে বেহালা থানা থেকে একটি সমন পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, শনিবার ৩টেয় সময় দেখা করতে হবে বেহালা থানায়। দেখা না করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই প্রসঙ্গে দেবাশিস চক্রবর্তী জানান, ‘নাগরিক সমাজের ডাকা আন্দোলন। সেখানে ছিলাম। এরপরই ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যাক্টে আমাকে সমন পাঠানো হল। প্রথমত আমরা ন্যাশনাল হাইওয়েতে ছিলামই না। দ্বিতীয়ত, বিশ্বজুড়ে এই প্রতিবাদ হচ্ছে। আমাকে একা এই সমন পাঠানোর কোনও মানে খুঁজে পাচ্ছি না। এর আগেও আমাকে বলা হয়েছিল লালবাজার সাইবার ক্রাইম শাখা থেকে। আমি ফেসবুকে একটা পোস্ট করেছিলাম। আমাকে বলা হয় তুলে নিতে। আমি তুলেও নিয়েছিলাম। তারপর আবার এই কেস। বেহালা থানা ডেকে পাঠাল।’