স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন বিজ্ঞপ্তি নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি ও বিধিকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলায় যাবতীয় আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্টও।
সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে। সেখানে জানানো হয়, স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজেদের মতো করে স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে আগ্রহী নয়। এরপরই বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন, দাগি অযোগ্যরা বাদ হয়ে গিয়েছেন। যোগ্যরা বাড়তি সুযোগ পেলে ক্ষতি কী? তাঁদের তো পড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। পাশাপাশি আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘আমরা কখনও বলিনি, রুলস ফ্রোজেন।‘ এরপরই এদিন আদালতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের অনুমতি দেওয়া হোক মামলা প্রত্যাহারের।‘বিচারপতি বলেন, ‘এতক্ষণ শুনানির পর আমরা প্রত্যাহার করার অনুমতি দিতে পারব না। সর্বোচ্চ আদালত ভাগ্য পরীক্ষার জায়গা হতে পারে না। কোথাও একটা গিয়ে এটা থামা দরকার।‘ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল গত সপ্তাহে। মামলা করেছিলেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।
প্রসঙ্গত, ২০১৬–র পুরো প্যানেল বাতিল করার যে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, সেখানেই বলা হয়েছিল, চিহ্নিত অযোগ্য বাদে বাকি চাকরিহারাদের বয়সে ছাড় দেওয়া হবে। সেই মতো রায়ের কথা উল্লেখ করেই এসএসসি বয়সে ছাড় দেওয়ার কথা বলেছে। এছাড়া শিক্ষকদের অভিজ্ঞতার জন্য অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ রয়েছে নোটিফিকেশনে। এই দুই বিষয় নিয়েই আপত্তি ছিল চাকরি প্রার্থীদের একাংশের। মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য উল্লেখ করেছিলেন, এঁরা সুবিধে পাচ্ছেন, যা বৈধ নয়৷ এর জেরে অযোগ্যরা বাড়তি সুবিধে পাবেন৷