নওশাদ দরজা খুলে দিলে ভাঙড়ে যাবো, জানালেন শুভেন্দু, নওশাদ জানালেন স্বাগত

পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সময় থেকেই  রাজ্যজুড়ে হিংসা ও অশান্তির অভিযোগে সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এরপর মনোয়ন পর্ব থেকে শুরু করে নির্বাচন এবং ফলপ্রকাশ পর্যন্ত নানা ঘটনায় আক্রান্ত শাসক থেকে বিরোধী শিবিরে কর্মী সমর্থকেরা। আর তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক কী ঘটনা তা জানার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেও দেখা যাচ্ছে তাঁকে। তবে ভাঙড়ে এখনও পা রাখেননি শুভেন্দু। অথচ, পঞ্চায়েত পর্বে সবথেকে বেশি যে জায়গাগুলিতে অশান্তি ছড়িয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম ভাঙড়। কেন শুভেন্দু ভাঙড়ে যাচ্ছেন না, তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। তবে এই জল্পনার এবার উত্তর বিধানসভার বিরোধী দলনেতার গলায়।

ভাঙড় নিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘ভাঙড়ে যাওয়ার পরিস্থিতি থাকলে নিশ্চিতভাবে যাব। তবে যাওয়ার জন্য দরজা খুলতে হয়।’ তাঁর কথায়, যেসব জায়গায় তিনি যাচ্ছেন, সেসব জায়গায় তাঁর জন্য দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির কর্মী-সমর্থক-ভোটাররা তাঁকে ডেকে পাঠাচ্ছেন। জায়গায় জায়গায় ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। কিন্তু, ভাঙড়ের ক্ষেত্রে, সেখানকার মানুষজনের মধ্যে বিজেপি‘সাম্প্রদায়িক’ বলে ভুল বুঝিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানান বিরোধী দলনেতা। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু এও বলেন,’আমি ব্যক্তি শুভেন্দু অধিকারী তো তা নই। আমি বিজেপির একজন বিধায়ক।’ আর এখানেই বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, আইএসএফের চোখে সাম্প্রদায়িক বিজেপির বিধায়কের জন্য দরজা কি খুলবেন? বুঝিয়ে দিলেন, দরজা খুললে ভাঙড়ে যেতে তাঁর কোনও ‘আপত্তি নেই’। বললেন, ‘আমি অকুতোভয়, আমি রাজি, কিন্তু দরজা আপনাদের খুলতে হবে।’ শুধু তাই নয়,  সঙ্গে এও জানান, দরজা খোলা হলে, তিনি সেখানে গিয়ে বিজেপির জন্য ভোট চাইবেন না। একইসঙ্গে বগটুইয়ের ঘটনাও মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু। সেখানে যে নওশাদ বা মমতাদের আগে শুভেন্দু পৌঁছে গিয়েছিলেন ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে তাও এদিন মনে করিয়ে দেন বিরোধী দলনেতা।

শুভেন্দুর এই বক্তব্যের পর নওশাদের পাল্টা বক্তব্য, ‘নিশ্চয়ই মানুষ দরজা খুলে দেবে। কেন খুলবে না? তিনি তো কোনও দলের প্রতিনিধি হয়ে যাবেন না। বিরোধী দলনেতা হয়ে যাবেন। এতে অসুবিধা কী আছে। তিনি পৌঁছলে মানুষ নিশ্চয়ই তাঁকে গ্রহণ করবে।’ সঙ্গে এও বলেন, ‘বিরোধী দলনেতা হিসেবে রাজ্যের যেখানে অন্যায়-অত্যাচার হবে, সেখানেই তিনি যাবেন বলে আশা করি। বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি ভাঙড়ে গেলে, ভাঙড়বাসী নিশ্চয়ই দরজা খুলে দেবে।’  এর পাশাপাশি আইএসএফ যে জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূলের বিরোধিতা করে এসেছে, সে কথাও মনে করিয়ে দেন নওশাদ। আইএসএফ বিধায়কের বক্তব্য, ‘শুভেন্দু অধিকারী পঞ্চায়েত ভোটে এসে বলছেন, নো ভোট টু মমতা। এদিকে আমরা ২০২১ সালের ভোট থেকেই মমতাকে ভোট না দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × one =