পিংলার মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজভবনে শুভেন্দু

মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজভবনে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারকে নিয়ে রাজভবনে যান শুভেন্দু অধিকারী। এব্যাপারে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপের জন্য রাজ্যপালের কাছে আর্জি জানান তিনি। সূত্রে খবর, মৃত বিজেপি কর্মীর নাম শান্তনু ঘোড়ুই। পরিবারের অভিযোগ, তাঁরা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ তাঁদের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। পরে বিজেপি নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পুলিশ এই অভিযোগ নেয়।

সূত্রে খবর, গত রবিবার ধান খেতের মধ্যে বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পিংলা থানা এলাকায়। আর এই ঘটনাকে সামনে রেখেই মৃত দলীয় কর্মী শান্তনু ঘোড়ুইয়ের পরিবারকে সঙ্গে করে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু। সঙ্গে ক্যানিং পূর্বের আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের কথাও বলেন তিনি। রাজ্যপালকে কাছে পিংলা-ক্যানিংয়ে যাওয়ার অনুরোধও করেন শুভেন্দু। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভও উগরে দেন বিরোধী দলনেতা। একইসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘প্রথমে এফআইআর নিতে চায়নি পুলিশ। পরে বিক্ষোভের ফলে এফআইআরটা নিয়েছেন। পোস্টমর্টেম করেছে গায়ের জোরে। এখন পুলিশ বলছে জলে ডুবে মৃত্যু। কিন্তু, দেহ উদ্ধার হয় মাঠ থেকে।’ এরপরই ক্যানিংয়ের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, ‘ক্যানিংয়ে শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ হোসেন শেখের নেতৃত্বে ৩০ জন বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। তারমধ্যে তিনজন কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ওখানেও এফআইআর নেওয়া হয়নি। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।’ শুভেন্দুর সাফ কথা, ‘জঙ্গলরাজ চলছে। ডিজির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। উনি সময় দেননি। আমরা রাজ্যপালকে বলেছি আপনি শান্তুনুর বাড়ি যান। ক্যানিং যান।’

এদিকে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। এরপরই ঘটনাস্থলের অদূরে বিজেপি নেতাকে হিরণকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের মা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। মৃতের মায়ের দাবি, অনেকদিন ধরে স্থানীয় তৃণমূলের লোকজন তাঁর ছেলেকে হুমকি দিচ্ছিল। বৃদ্ধার অভিযোগ, তাঁরা বিজেপি করেন, তাই তাঁদের পরিবার সরকারির প্রকল্পগুলির কোনও সুবিধাই পাননি। এরপরই সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হন হিরণ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × two =