স্যালাইন কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির দাবি শুভেন্দুর

সম্প্রতি বিষাক্ত স্যালাইনে প্রসূতি মৃত্যুর পর তোলপাড় হয়েছে রাজ্য। নিষিদ্ধ স্যালাইন ব্যবহারের ছবিও ধরা পড়েছে হাসপাতালগুলিতে। এই ঘটনায় যখন প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, ঠিক তখনই একাধিক চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার প্রসূতি মৃত্যুর প্রতিবাদে মেদিনীপুরে মিছিলে নামেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মেদিনীপুরে গিয়ে তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কেই নিশানা করেন। স্যালাইনকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির দাবিও জানান তিনি।

সম্প্রতি সন্তান প্রসবের পরই, মৃত্য়ুর কোলে ঢলে পড়েন এক প্রসূতি। পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্য়ালের তৈরি রিঙ্গার ল্য়াকটেট ব্য়বহারের ফলেই এই পরিণতি বলে ওঠে অভিযোগ। এই প্রেক্ষাপটে আবার রোগীর পরিবারের থেকে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়। কিন্তু, এতগুলো মানুষকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলল কারা বা কারা এই ঘটনার জন্য় দায়ী এই সব প্রশ্ন যখন ঘোরাফেরা করছে বঙ্গের সর্বস্তরে ঠিক তখনই সাংবাদিক সম্মেলনে সম্প্রতি গাফিলতির কথা মেনে নেন মুখ্য়সচিবও। তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল পোস্ট গ্র্য়াজুয়েট ট্রেনি চিকিৎসকদের প্রসঙ্গ। আর ঠিক এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়েই শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে দেখা যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। মঙ্গলবার মুখ্যসচিবের কথার চুলচেরা বিশ্লেষণও করেন তিনি।

এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘জালিয়াতি, কর্তব্যে অবহেলা এবং  ক্ষমার অযোগ্য অপরাধকে আড়াল করার জন্য, গোটা রাজ্যে হাজার হাজার মানুষকেই স্যালাইন দিয়েছে।  নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে দিয়েছে কয়েকদিন আগে। এরপর সোমবার তা নদিয়ায় ধরা পড়েছে। কত মানুষের যে ক্ষতি করেছেন এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই স্যালাইন দিয়ে ! এই স্যালাইন কোম্পানি তৃণমূলের।  এই স্যালাইন কোম্পানির থেকে তৃণমূল টাকা নিয়েছে। চোপড়াতে কারখানা। চোপড়ার এমএলএ এবং বিডিও প্রতিমাসে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ নেয়।  মুকুল ঘোষ অন্যতম ডিরেক্টরের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক আছে। ক্ষমার অযোগ্য অপরাধটা আড়াল করতে,  জাতীয় সম্পদ- চিকিৎসকদের সাসপেন্ড করেছে। আমরা সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে এই মিছিল করছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × five =