দুটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন শুভেন্দু

আরজি কর ইস্যুতে দুটি প্রশ্ন থেকে কিছুতেই নড়ছেন না শুভেন্দু অধিকারী। যে দুটি ঘটনা তিনি সামনে আনছেন তা আরজি কর ঘটনায় ভীষণ রকমই তাৎপর্যপূর্ণ। আর শুভেন্দু এই জোড়া প্রশ্নের উত্তর চান বলেই জানাচ্ছেন। এই দুটি ঘটনায় তাঁর অভিযোগের আঙুল যে শাসকদলের দিকে তা বুঝতেও বাকি থাকছে না।

সমগ্র ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর প্রথম প্রশ্ন পানিহাটির যে শ্মশানে আরজি করের চিকিৎসককে দাহ করা হয়েছে সেই শ্মশানের শেষকৃত্যের খরচ তাঁর বাড়ির লোক দেয়নি। তাহলে তা দিয়েছে কে? এরই পাশাপাশি শুভেন্দুর দ্বিতীয় প্রশ্ন দাহ কার্যের সময় শ্মশানে যে সরকারি খাতায় স্বাক্ষর করতে হয় সেখানে তাঁর বাড়ির লোক স্বাক্ষর করেননি, সরকারি রেজিস্টারে তাহলে কে স্বাক্ষর করল?

বলা বাহুল্য, দু’দিন আগেই আরজি কর কাণ্ডে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সিবিআই-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে শুভেন্দুর দাবি ছিল, ‘চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের পর তাড়াহুড়ো করে তাঁর দেহ দাহ করা হয়েছে। শ্মশানে গোটা অপারেশনটি হয়েছে পুলিশের তত্ত্বাবধানে। দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসকের দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়।’ শুভেন্দু অধিকারীর আরও দাবি ছিল, সেই রাতে অনেক আগে থেকেই শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ। চিকিৎসকের দেহ দাহ করা হয় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। অথচ গোটা অপারেশনটির নেতৃত্ব দিয়েছেন ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের দু’জন আইসিও। পুরো অপারেশনটি নজরে রেখেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি।

এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা উচিত সিবিআইয়ের। তাহলেই হয়তো আরজি কর কাণ্ডকে ধামাচাপা দেওয়ার কারণ প্রকাশ্যে আসবে বলে মত বিরোধী দলনেতার। আর এবার আরজি করের চিকিৎসকের দাহ পর্ব নিয়ে শুভেন্দুর নয়া অভিযোগ ও দাবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 − 2 =