সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবি সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে তোলা হলেও ফাঁসি হয়নি, আদালত দিয়েছে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা। ফলে শিয়ালদহ আদালতের রায় নিয়ে বিতর্ক চলছেই। ইতিমধ্যেই এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছে রাজ্য। ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছে সিবিআই-ও। এদিকে সূত্রে খবর, শুক্রবার তিলোত্তমার পরিবারকে সঙ্গী করে উত্তর কলকাতায় মিছিল করার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। কলেজ স্ট্রিট থেকে মহম্মদ আলি পার্ক পর্যন্ত এই মিছিল হওয়ার কথা।
সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি না হওয়া নিয়ে যেমন ক্ষোভ রয়েছে ঠিক তেমনই বিচারক অনির্বাণ দাসের মামলার রায়ে স্পষ্ট ভাবে পুলিশের পাশাপশি সিবিআইয়ের ব্যর্থতা প্রকট হয়ে উঠেছে। এহেন আবহেই পরিবারকে সঙ্গী করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পথে নামা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত বিশ্লেষকদের।
প্রসঙ্গত, আদালতের রায় বের হওয়ার আগে থেকেই রাজ্য তথা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার সরব হতে দেখা গিয়েছে তিলোত্তমার পরিবারকে। সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সরব হয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শুরু থেকেই সরব ছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। কিন্তু, সিবিআই দিনের শেষে সঞ্জয় ছাড়া আর কাউকেই মূল ঘটনায় দোষী হিসাবে দেখাতে পারেনি। সেক্ষেত্রে পদ্ম শিবিরের নেতারাও বেশ খানিকটা অস্বস্তিতে রয়েছে বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের বড় অংশের। এমনই এক প্রেক্ষিতে তিলোত্তমার পরিবারের সঙ্গে একযোগে শুভেন্দুর মিছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এদিকে এরইমধ্যে আবার বৃহস্পতিবার মৌলালি যুবকেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে রাজপথের দখল নেওয়ার ডাক দিয়ে গণ কনভেনশনের আয়োজন করে ডক্টর্স ফর ডেমোক্রেসি। সেই আলোচনার মঞ্চে হাজির ছিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় থেকে নাট্যব্যক্তিত্ব চন্দন সেন। হাজির ছিলেন অ্যাপ ক্যাব চালক-সহ সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরাও। প্রসঙ্গত, এর আগে তিলোত্তমার আন্দোলন সম্পর্কিত সকল কনভেনশনে রাজনীতির বড় মুখদের সেইভাবে হাজির থাকতে দেখা যায়নি। কিন্তু, এদিন নজরে এল ভিন্ন এক ছবি।