রবিবার ভবানীপুর বিধানসভার থিয়েটার রোড এলাকায় ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। নন্দীগ্রামের বিজেপি সাংসদের বারবার এই ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে আনাগোনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু বঙ্গ রাজনীতিতে। কারণ, সম্প্রতি, শুভেন্দুকে বলতে শোনা গেছে, নন্দীগ্রামের চেয়ে ভবানীপুরে জেতা তাঁর কাছে অনেক সহজ। কারণ, ভাবনীপুরে রয়েছেন অনেক অবাঙালি ভোটার। এর কয়েকদিন পর দলীয় কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মিছিল করেন ভবানীপুর লাগোয়া রাসবিহারী-টালিগঞ্জ এলাকায়। দিন-কয়েক আগে ফের বিধানসভার গেটে দাঁড়িয়ে প্রসঙ্গ তোলেন ভবানীপুরের। হিন্দুদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। যদিও, তৃণমূল এই বিষয়কে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
তবে ২০২৬-এ ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে শুভেন্দু অধিকারী দাঁড়াবেন কি না তা নিয়েও শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। যদিও, বিরোধী দলনেতা ভবানীপুর থেকে সরাসরি দাঁড়ানোর কথা না বললেও, তাঁর নজর যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্রের দিকে রয়েছে সেই বিষয়টি খানিকটা ইঙ্গিত তিনি দিয়েছেন আগেই। এক সময় নন্দীগ্রামেই শুভেন্দু নিজের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কর্মসূচি করতেন। দু’একটি ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে তাঁর বিধানসভা ক্ষেত্র থেকে বাইরে কর্মসূচি করতে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই প্রথম তাঁকে দেখা গেল ভবানীপুরে গিয়ে ‘মন কি বাত’ শুনতে। তাঁকে বারবার বলতে শোনা যাচ্ছে, অমুসলিম ভোটারের কথা, একই সঙ্গে অবাঙালি ভোটের কথা। সেই কারণেই প্রশ্ন উঠছে শুভেন্দু এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে চাইছেন কি না তা নিয়েই।
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে শুভেন্দুকে আশাবাদী শোনাচ্ছে তাঁরই বক্তব্যে। কারণ তিনি জানান, ‘আমরা মিছিল করছিলাম। তাজবেঙ্গল আর পশু হাসপাতালের সামনে। সেখানে তৃণমূলের লোক ছিল না। আমি এখানে এসে ন্যাশানাল লাইব্রেরির রিডিং রুম দেখলাম। চা-সিঙারা খেলাম। আমার কাছে নন্দীগ্রামের থেকেও ভবানীপুর আমার কাছে খুব সহজ।’
তবে বিষয়টিতে পাত্তা দিতে নারাজ। রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানেই দাঁড়ান না কেন সেইটাই তাঁর জন্য সহজ সিট। শুভেন্দুবাবু ভাবুন কোথায় দাঁড়াবেন। নির্বাচন নির্ভর করে সম-সাময়িক সময়ের উপর। যিনি দাঁড়াচ্ছেন তিনি কী কী কাজ করেছেন তাঁর উপর।’