নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সব অভিযোগ সামনে আনার সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি নথি হাতে নিয়ে বসতেও দেখা যায়। ঠিক তাঁর পাশে ছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারিও। এদিন এই সব কাগজ এবং নথি হাতে শুভেন্দু দাবি করেন, ‘এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে এই শাসকদলের নেতা মন্ত্রী দুর্নীতি করেননি।’
শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার পর প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে। এদিন শুভেন্দু দাবি করেন, এসপি দাশের হাত সন্দীপ ঘোষের মাথায় ছিল। সে কারণেই একসঙ্গে তিনটি চাকরি পেয়েছিলেন। বিরোধী দলনেতা জানান, আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট (নন মেডিকেল) আখতার আলি দীর্ঘদিন এ নিয়ে লড়াই করছেন। এবার তাঁরাও নথি তুলে ধরে সেদিকটি প্রচারের আলোয় আনবেন বলে জানান।
এর পাশাপাশি শুভেন্দু এদিন এও দাবি করেন, স্বাস্থ্যভবনে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে। তা নিয়ে তিনটি এফআইআরও হয়েছে। ইডি যার তদন্ত শুরু করেছে। আখতার আলির পাশাপাশি কৌস্তভ বাগচিও একটি অভিযোগ করেছেন বলে জানান তিনি। অন্যদিকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি নিয়েও লেদার কমপ্লেক্স থানায় দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
কোভিডকালেও বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের টাকা নয়ছয়েরও অভিযোগ তোলেন তিনি। এছাড়া স্বাস্থ্য ভবনে নিয়োগেও এনআরআই কোটায় চরম দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি তাঁর। শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর ছেলের ডাক্তারিতে সুযোগ পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু।
যদিও এ নিয়ে শুভেন্দুকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। শুভেন্দুকে বিদ্ধ করে কুণালের প্রশ্ন, ‘বাজার গরম করছেন কেন? তথ্য সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়ে আসুন। তথ্যের সারবত্তা থাকলে তথ্য দিন। বাইরে বাজার গরম করে কী লাভ?’