লালবাজারের পর এবার স্বাস্থ্যভবন অভিযান। এদিকে আবার সুপ্রিম নির্দেশ, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তাররাও তাঁদের দাবিতে অনড়। তাঁদের স্পষ্ট কথা, দাবিগুলি না মানা পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন না। কর্মবিরতি তোলা তো দূরের কথা, আরও জোরদার আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের ভিড় বাড়তে শুরু করে করুণাময়ী চত্বরে। ঝাঁটা হাতে মিছিলে দেখা যায় ডাক্তারদের। নজরে এল প্রতীকী ‘মস্তিষ্ক’, চোখও। আন্দোলনকারীদের দাবি, স্বাস্থ্য ভবনের মাথা-চোখ বিকল হয়েছে। তাই দরকার নতুন ‘অপারেশনের’। এদিনের আন্দোলন থেকে হেলথ সেক্রেটাররি, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার পদত্যাগের জোরালো দাবিও ওঠে।
অন্যদিকে জুনিয়র চিকৎসকদের এই ব়্যালি সামাল দিতে রণসজ্জা সাজিয়ে প্রস্তুত থাকতে দেখা যায় পুলিশকেও।
এদিন ৫ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য ভবন সাফাই অভিযানের ডাক দেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সমর্থনে পথে নেমেছে নাগরিক সমাজও। আন্দোলনকারীদের দাবি, তিলোত্তমার ঘটনা কোনও বিচ্ছিন ঘটনা নয়, শুধু আরজি করের ঘটনা নয়, তিলোত্তমার পরিণতির জন্য দায়ী রাজ্যের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলির অব্যবস্থা। আর সামগ্রিক ঘটনায় সুর চড়ছে ‘গ্যাংস অফ সন্দীপ ঘোষের’ বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, হস্টেল থেকে ক্যাম্পাস, ক্লাসে যে বাতরণ তৈরি করেছে এই গোষ্ঠী তার জন্যই এই পরিণতি আজ।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকেই এক জুনিয়র চিকিৎসক জানান, ‘আমাদের ৫ দফা দাবির কোনও সমাধান হয়নি। আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী এই দাবি মেটানোর ব্যবস্থা করুন। প্রয়োজনে আরও দীর্ঘ সময় আমরা আন্দোলনে থাকব। ৫টার মধ্যে যদি হেলথ সেক্রেটাররি, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার পদত্যাগ সহ আমাদের যে দাবি রয়েছে তা মানা না হলে আন্দোলন আরও জোরাল হবে। আমরা বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি আমরা আগেই লালবাজার অভিযান করেছিলাম। সেই দাবি এখনও মানা হয়নি। সরকার যদি আমাদের দাবি না মানেন তাহলে আমরা বুঝব তারা চাইছেন না আমাদের সমস্যা মিটুক।’