মাসল পেইন বা হাড় ও স্নায়ুতে ব্যথা এখন আমাদের নিত্য সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুব ক্লান্তও বোধ করতে পারেন। সব সময় তা যে পবেশি কাজ করার জন্য হচ্ছে তা কিন্তু নয়। ভিটামিন ডি-এর অভাব থেকেও এই সমস্যা তৈরি হতে পারে। আরও বড় সমস্যা হল ঘন ঘন অসুস্থ হওয়া। সঙ্গে হতাশা ও দুশ্চিন্তা তো রয়েছেই। এই সব ক’টি সমস্যার কারণ হতে পারে শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব। ভিটামিন-ডি এর অভাবে কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে তা এক ঝলকে দেখে নেওযা যাক।
শরীর ক্লান্ত: সারাদিন শরীর খুব ক্লান্ত লাগছে৷ মনে হচ্ছে বেশি কাজের জন্যই এমনটা হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবের কারণেও এটি হতে পারে। আসলে, ভিটামিন ডি-এর অভাবে শরীরের এনার্জি লেভেল কমতে শুরু করে, যার কারণে অল্প কাজ করার পরও আপনি ক্লান্ত বোধ করতে পারেন।
ঘন ঘন অসুস্থ হওয়া: শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাবের কারণে আপনি প্রায়ই অসুস্থ হতে পারেন। ভিটামিন ডি এর অভাবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে, যার কারণে ঠান্ডা, সর্দি, জ্বর, কাশি এবং সমস্ত ধরণের সংক্রমণের ঝুঁকিও অনেকগুণ বেড়ে যায়।
হাড় ও স্নায়ুতে ব্যথা: ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড়, জয়েন্ট, পিঠ ও স্নায়ুতেও ব্যথা হতে পারে। শরীরের স্নায়ু কোষে উপস্থিত ভিটামিন ডি-কে নোসিসেপ্টর বলে। ভিটামিন ডি-এর অভাবের কারণে নোসিসেপ্টর কমতে শুরু করে, যার কারণে পেশিতে ব্যথা শুরু হয়।
মানসিক চিন্তা: শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাবে আপনিও হতাশা ও দুশ্চিন্তার শিকার হতে পারেন। আসলে, শরীরে ভিটামিন ডি কমে যাওয়ার কারণে স্ট্রেস লেভেল বাড়তে শুরু করে, যার কারণে আপনার বিষণ্নতা এবং উদ্বেগ বাড়তে থাকে।
ওজন বেড়ে যাওয়া: আপনার ওজন যদি হঠাৎ করেই বাড়তে থাকে, তাহলে এগুলোও শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাবের লক্ষণ হতে পারে। ভিটামিন ডি ওজন কমাতে সাহায্য করে। যখন শরীরে ভিটামিন ডি কমতে শুরু করে, তখন আপনার পেটের চর্বি এবং ওজনও বেড়ে যেতে পারে।
চুল পড়া: অনেক সময় চুল পড়ার কারণও হতে পারে শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব। চুল পড়াও ভিটামিন-ডি অভাবের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কম থাকায় চুল দুর্বল হয়ে পড়ে। যার কারণে চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে।