মরশুমি ফল হিসেবে একটু আনারস খেলে ……….

আনারস গ্রীষ্মকালীন ফল। এই রসালো ফলে অনেক পুষ্টি রয়েছে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এছড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, থিয়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি-৬, ফোলেট, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম ও বিটা ক্যারোটিন। এসব অপরিহার্য উপাদান দেহের পুষ্টির অভাব পূরণ করে। এছাড়াও আছে ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ভিটামিন বি৬, তামা, ফোলেটের মতো উপাদানও।

ফলে আনারসের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যা আমদের অনেকেরই অজানা। আর এই একাধিক উপকারিতার তালিকায় রয়েছে,

হজম শক্তি বাড়ানো

কারণ, আনারস ফাইবারের একটি বড় উৎস। এটি আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যর জন্য ভাল। এতে উপস্থিতি এনজাইমগুলি ব্রোমেলেন নামে পরিচিত। এগুলো আমাদের হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।

ক্ষত সারিয়ে তোলে

গবেষণায় দেখা গেছে যে, ব্রোমেলিনে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আমাদের ত্বকে আঘাতের ফলে যে ক্ষতি হয় তা সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে আনারস। এমনকি এটি ত্বকের ফোলাভাব কমায়।

ইমিউনিটি সিস্টেম উন্নতি করে

আনারস বহু শতাব্দী ধরে ওষধি উদ্দেশ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কারণ, এতে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমাদের দেহের ইমিউনিটি সিস্টেম ঠিক রাখে।

আর্থারাইটিস নির্মূল করে

ব্রোমেলেন এনজাইমগুলি ব্যথা এবং ফোলা প্রতিরোধে সাহায্য করে। আর্থারাইটি নির্মূলে এটি উপকারি। আনারসে থাকা অ্যান্টি-ফ্ল্যামেটরি শরীরে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

ঠাণ্ডা লাগার ধাত থাকলে

আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় তা ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাছাড়া জ্বর ও জন্ডিস প্রতিরোধে আনারস বেশ উপকারী। এছাড়া নাক দিয়ে জল পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের সমস্যায় খেতে পারেন আনারসের রস।

হাড় ও দাঁত শক্ত রাখতে

আনারসে প্রচুর পরিমানে ম্যাঙ্গানিজ আছে। এতে আমাদের হাড় আরও শক্ত এবং মজবুত হয়। প্রত্যেকদিন এক গ্লাস করে আনারসের রস খেলে আমাদের মাড়ি সুস্থ থাকে এবং দাঁত মজবুত হয়।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

আনারসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। এছাড়াও এতে কোনও ফ্যাট থাকে না। ফলে প্রতিদিন একবাটি করে আনারস খেলে ওজন কমে তাড়াতাড়ি। আর আনারস রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে শরীরে রক্ত প্রবাহ ঠিক থাকে। আনারসে প্রচুর ফাইবার থাকে এবং ক্যালোরি খুবই কম থাকে। এই ফল ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

হেলথলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে, আনারসের যৌগগুলি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম।

ফলে স্বাস্থ্যরক্ষা থেকে ওজন কমানো সবেতেই খুব ভালো কাজ করে আনারস। কাঁচা, চাটনি, জুস যেভাবে খুশি খেতে পারেন। হৃদ্‌রোগসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধেও লড়তে আনারসের থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপকারী। রসালো এ ফল জুস তৈরি করেও খাওয়া যায়।

এক কাপ আনারসে (১৬৫ গ্রাম আনারসে যা যা আছে)

ক্যালোরি- ৮২.৫ গ্রাম

প্রোটিন- ১ গ্রাম

কার্বোহাইড্রেট- ২১.৬ গ্রাম

ফাইবার- ২.৩ গ্রাম

ভিটামিন সি- ১৩১ শতাংশ

তবে আনারস খেলে অনেকেই অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন। অনেকের শরীরে চুলকানি, ফুসকুরি দেখা দেয়।শুধু তাই নয়, এতে থাকা চিনি ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। আনারস অ্যাসিটিক ফল। তাই খালি পেটে খেলে পেটব্যথা হতে পারে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × three =