আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে নেতাজির লেখা ‘তরুণের স্বপ্ন’। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে এমনটাই। অর্থাৎ, ২০২৫ সাল থেকে দশম শ্রেণির প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে তা পড়তে হবে। তবে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হলেও তার উপর কোনও মূল্যায়ন করা হবে না। পোশাকি ভাষায় এটি, ‘নন-ইভ্যালুয়েটিভ সাপ্লিমেন্টারি রিডার’।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, দশমের ছাত্রছাত্রীদের ‘তরুণের স্বপ্ন’ পড়ানোর এই পদক্ষেপের পিছনে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মতামত। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি একটি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মত প্রকাশ করেছিলেন যে ‘তরুণের স্বপ্ন’-র মতো বই বাচ্চাদের পড়া উচিত। তবেই তাদের সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা বাড়বে। তার প্রেক্ষিতেই পাঠ্যক্রমে এই বই যুক্ত করা হয়েছে পর্ষদের তরফ থেকে।
এই প্রসঙ্গে শিক্ষক মহলের বক্তব্য, ছাত্রাবস্থায় ‘তরুণের স্বপ্ন’ পাঠের গুরুত্ব অনেকখানি। মূল্যবোধ, দেশাত্মবোধ, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার জন্য বইটির কোনও বিকল্প নেই বলেই মত তাঁদের। নেতাজির লেখা চিঠি এবং প্রবন্ধের সংকলনটি বিভিন্ন মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে এসেছে।
তবে এই বইয়ের উপর মূল্যায়ন করা হবে না অর্থাৎ পরীক্ষায় কোনও প্রশ্ন করা হবে না, তাই এর গুরুত্ব তেমন থাকবে না বলেই মনে করছে শিক্ষকদের একাংশ। পাঠ্যসূচির অন্য কোনও অংশ কমিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রবন্ধটি পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী।