অগ্নিমূল্য সবজি, রাশ পরাতে মাঠে নামছে টাস্ক ফোর্স

টানা বৃষ্টিতে গরম কমেছে ঠিকই তবে বাজারে গিয়ে সব্জি থেকে মাছ বা মাংস যে কোনও কিছুতে হাত দিতে গেলেই রীতিমতো ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের। কারণ, এই সবেরই দাম এক ধাক্কায় বেড়েছে অনেকটাই। কারণ হিসেবে বিক্রেতারা জানান,  টানা বৃষ্টির জেরে জেলায় জেলায় সবজি চাষে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও বৃষ্টির কারণে জোগান কম রয়েছে। তাই দাম বাড়ছে। আগামী কয়েকদিনে আবহাওয়ার উন্নতি না হলে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানান তাঁরা।

বৃহস্পতিবার কলকাতার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেল বেশিরভাগ সবজির দাম ঘোরাফেরা করছে কিলোপ্রতি ৬০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। বেড়েছে মাছের দামও। আর এই মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় পিছিয়ে নেই মুরগির মাংসের দামও। যে কারণে  বাজারে সামান্য কিছু কিনতে গেলেও নাভিঃশ্বাস উঠছে আমবাঙালির।  এদিন কলকাতার বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা লঙ্কা বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা দরে। যেখানে দুদিন আগে কাঁচা লঙ্কার কেজি ছিল ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। বেগুনের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। টমেটো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। তবে আলুর দাম  এখনও সেভাবে বাড়েনি। বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২০ টাকায়। পটল ৬০ টাকা, ঝিঙের দাম ৮০ টাকা,  করলা ৮০ টাকায়, ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা প্রতি কেজি।

আর এই অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। এই মূল্যবৃদ্ধির খবর পৌঁছেছে নবান্নেও। এবার এই অস্বাভাবিক রাশ পরাতে মাঠে নামতে চলেছে টাস্ক ফোর্স। শুক্রবার থেকে তারা অভিযানে নামতে চলেছে। কলকাতার তিনটি বাজারে শুক্রবার অভিযানে নামবে তারা। কথা বলবেন ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে। টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে একথা জানিয়েছেন। তবে একইসঙ্গে তিনি এও জানান, সবজির এই অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য বৃষ্টিই দায়ী। একইসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘বর্ষার সময় চারিদিকে জল জমে গিয়ে সবজি নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও বাজারে বাজারে পর্যাপ্ত মাল আছে না। যারা আনেছে তারা তাই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। লোকাল চাষিদের লঙ্কা শেষ হয়ে গিয়েছে। বেলডাঙার লঙ্কাও প্রায় শেষ। বাইরের রাজ্য থেকে লঙ্কা এলে দাম কমবে। মাস খানের দাম একটু বেশিই থাকতে পারে। তারপর ধীরে ধীরে কমে যাবে। আমরা বাজার ঘোরা শুরু করছি শুক্রবার থেকে। তবে, মাল যদি কম আসে তাহলে ব্যবসায়ীরা কী করবে? তবে, অতিরিক্ত মুনাফা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুক্রবার কোলে মার্কেট, তারাতলা হোলসেল মার্কেট, উল্টোডাঙা মার্কেটে আমরা যাব।‘ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 1 =