‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ বাতিল-এর যে দাবি বুধবার তুলতে দেখা যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তাতে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। দলেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বিরোধী দলনেতা। ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় নেমেছ বঙ্গের স্যাফ্রন ব্রিগেড। এমন পরিস্থিতিতে শুভেন্দুর পাশে দাঁড়ালেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়। স্পষ্ট জানান, ‘বিরোধী দলনেতা যা বলেছেন তা ধ্রুব সত্য। বাকিটা রাজনীতি।’
বুধবার শুভেন্দু সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে এক দলীয় সভায় জানান, ‘আমিও বলেছি রাষ্ট্রবাদী মুসলিম। আপনারাও বলেছেন, সব কা সাথ, সব কা বিকাশ। আর বলব না।’ এরপর সুর চড়িয়ে শুভেন্দু বার্তা দেন, ‘বলব, হামারি সাথ হাম উনকা সাথ। সব কা সাথ, সব কা বিকাশ। বন্ধ করো।’ এখানেই শেষ নয়, সঙ্গে এও বলেন, ‘সংখ্যালঘু মোর্চা তুলে দাও।’ এমন বার্তা দেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে শুভেন্দু এও বলেন, ‘সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংকের দখল নিয়েছে তৃণমূল। মেরুকরণ বুমেরাং হয়েছে বিজেপিতে। তাই বলতে হল সংখ্যালঘু মোর্চা তুলে দাও।’ স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই মন্তব্য শোনার পরই দলের অন্দরেই জলঘোলা শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে শুভেন্দুর পাশে দাঁড়ালেন তথাগত।’
এক্স হ্যান্ডেলে তথাগত রায় লিখেছেন, ‘রাজনীতিতে সকলের সাহস থাকে না এতটা সত্যি এতটা জোরে বলার। শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘজীবী হোন।’ তথাগতবাবুর সংযোজন, ‘মঞ্চে শুভেন্দু যা বলেছেন, তা ধ্রুব সত্য। বাকিটা রাজনীতি।‘’ এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি ফিরহাদ হাকিম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও টেনে আনেন।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভায় বঙ্গে বিজেপির ভরাডুবির পর থেকে নাম না করে বারবার শুভেন্দুদের নিশানা করেছেন তথাগত। অভিযোগ করেছেন, অর্থ এবং নারীর নেশায় বুদ বিজেপি নেতৃত্ব। এর বিনিময়ে ভোটের টিকিট বিলি হয়েছে। এর মাঝে হঠাৎই তিনি শুভেন্দুর পাশে দাঁড়ানো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।