কিটের অভাবে আরজি করে বন্ধ যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়

যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য পূর্ব ভারতের অন্যতম  কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। আর এই আরজি করেই এবার টিবি রোগ নির্ণয়ের কিটের অভাবে বন্ধ টিবির পরীক্ষা এবং চিকিৎসাও।

রোগী যক্ষ্মায় আক্রান্ত কি না তা জানতে প্রয়োজন পরীক্ষার। সেই পরীক্ষা হয় সিবি – ন্যাট ও ট্রু – ন্যাট পরীক্ষার কিটের মাধ্যমে। এদিকে আরজি করের তরফ থেকে যা শোনা যাচ্ছে তাতে এই কিটের অপ্রতুলতা রয়েছে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই মর্মে চলতি সপ্তাহের সোমবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক মৈত্রেয়ী বন্দ্যোপাধ্যায় একটি চিঠি লেখেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কিট নেই। ফলে অন্তত শ’ পাঁচেকের বেশি সন্দেহ ভাজন টিবি রোগীর পরীক্ষা আটকে রয়েছে এই হাসপাতালে।

এই ছবির কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি বুধবারও। এদিনও বহু টিবি সন্দেহভাজন রোগীকে কিটের অভাবে পরীক্ষা না করিয়ে ফিরতে হয় আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, এই হাসপাতালে আসেন মূলত উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দারাই। এদিন যাঁরা টিবির পরীক্ষা করতে এই হাসপাতালে এসেছিলেন তাঁদের গলায় অভিযোগের সুর স্পষ্ট। এক রোগীর আত্মীয় জানান, তাঁর বাবাকে টি বি বলে এলাকার ডাক্তারবাবু সন্দেহ করছেন। তাই তাঁকে নিয়ে আসা হয় আর জি কর হাসপাতালে। এখানে লাইন দিয়ে ডাক্তার দেখানোর পর জানানো হয়, টি বি পরীক্ষার কিট নেই। তাই বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। সঙ্গে তাঁরা আক্ষেপের সুরে এও জানান, এই কিটের দাম অত্যন্ত বেশি। ফলে এই কিট কেনার সামর্থ্যও নেই তাঁদের।

এদিকে টিবি কিটের অপ্রতুলতা নিয়ে সবার প্রথম প্রতিবাদে করেন এই হাসপাতালের ডি এস ও ছাত্র সংগঠনের তরফে কিছু ডাক্তারি পড়ুয়া। পরে একাধিক চিকিৎসক সংগঠন এই কিটের অপ্রতুলতা নিয়ে সরব হন। তবে এই বিষয়ে মেডিক‌্যাল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য সম্পাদক চিকিৎসক বিপ্লব চন্দ্র জানান, ‘কিটের জোগান বন্ধ থাকায় অন্তত ৫১০ জনের যক্ষ্মা পরীক্ষা থমকে গিয়েছে। তাঁদের নমুনা অপরিক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এমন ঘটনা অনভিপ্রেত।’ যদিও এই বিষয়ে আর জি কর কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 4 =